-273ºc,
Tuesday, 30th May, 2023 12:40 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ: একদিকে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যা (Flood), অন্যদিকে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। আর দুইয়ের যাঁতাকলে পড়ে গিয়ে সুনামগঞ্জবাসীর (Sunamganj) প্রাণ ওষ্ঠাগত। বৃষ্টি কমায় বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও এখনও বিদ্যুৎ (Electricity) বিচ্ছিন্ন জেলার ১২টি উপজেলা। মোবাইল পরিষেবা (Mobile Network) ও গ্যাস সংযোগও (Gas Service) বিচ্ছিন্ন। ফলে নির্জন দ্বীপের বাসিন্দাদের মতোই জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমজনতাকে। বেশ কয়েকটি এলাকায় খাদ্যসঙ্কটও দেখা দিয়েছে।
পাহাড়ি ঢাল বেয়ে নেমে আসা জলে ভেসে গিয়েছে সুনামগঞ্জ (Sunamganj)। কারও সাজানো সংসার, কারও বা সর্বস্ব ভেসে গিয়েছে বন্যার জলে। সুনামগঞ্জ শহরে জল কিছুটা কমতে শুরু করলেও সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও দোয়ারা বাজারের। ওই সব জেলায় এখনও জলবন্দি হয়ে রয়েছেন পাঁচ লাখের য়েছেন ৫ লাখেরও বেশি মানুষ। জেলায় বন্যা কবলিত প্রায় লক্ষাধিক মানুষ সব হারিয়ে ৪৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে (Temporary Shelter) আশ্রয় নিয়েছেন। তবে জল নামলেও জিনিসপত্রের দাম আগুন।
ইতিমধ্যেই সুযোগ বুঝে কালোবাজারি শুরু করে দিয়েছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এক লাফে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে এক কেজি মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। এক কেজি চিড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। পাঁচ টাকার কেক দশ টাকাতেও মিলছে না। কলার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি পিস ১০-১২ টাকা। মোমবাতির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ফলে অনেককেই কার্যত অভুক্ত অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (District Collector, Sunamganj) জাহাঙ্গীর হোসেন (Jahangir Hossain) সাংবাদিকদের বলেন, ‘অসহায় মানুষের সঙ্গে যারা প্রতারণা চালাচ্ছেন সেই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’