এই মুহূর্তে




চাইনিজ-প্রেমী কালী! পুজোর ভোগে চাউমিন, স্টিকি রাইসে তৃপ্ত দেবী

নিজস্ব প্রতিনিধি: চাউমিন, স্টিকি রাইস থেকে সবজি! এখানকার দেবী খেতে ভালবাসেন চাইনিজ ভোগ। হ্যাঁ, জানলে অবাক হবেন তবে এটাই ট্যাংরার বিখ্যাত ‘চাইনিজ কালী মন্দির’-এর বিশেষত্ব।

১৮০০ সালের পর থেকে চিনা সম্প্রদায়ের মানুষেরা প্রথম এই শহরে আসতে শুরু করেন। টেরিটি বাজার পেরিয়ে তারা বসতি গড়েন ট্যাংরা অঞ্চলে, যেখানে একটা সময়ে চামড়ার ব্যবসা রমরমিয়ে উঠেছিল। প্রায় ষাট-সত্তর বছর আগে এই মন্দিরে ছিল একটি গাছের তলায় সিঁদুর মাখানো কালো পাথর। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এক সময়ে এক চিনা শিশুর কঠিন অসুখ কোনও চিকিৎসাতেই সারছিল না। তার বাবা-মা তখন সেই পাথরের কাছেই মন থেকে প্রার্থনা জানান। আর এর পরেই ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা, সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি! ভক্তি আর কৃতজ্ঞতা থেকে সেই পরিবার এবং স্থানীয় চিনা মানুষেরা মিলে তৈরি করেন এই মন্দির।

বর্তমানে এখানকার দেবীর সেবায় শুধু বাঙালি পুরোহিতই নন, চিনা বংশোদ্ভূতরাও যুক্ত রয়েছেন। পুজো হয় হিন্দু রীতি মেনেই, কিন্তু সঙ্গে যোগ হয় চিনা সংস্কৃতির ছোঁয়া। চন্দনের গন্ধে, ধূপের ধোঁয়ায়, কাগজ পোড়ানোর আচার মিলে তৈরি হয় এক অদ্ভুত সমন্বয়। অশুভ আত্মাকে তাড়াতে হাতে তৈরি কাগজ পোড়ানো হয় আর দীপাবলির রাতে জ্বলে লম্বা চিনা ধূপকাঠি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এই মন্দিরের প্রসাদ। ফল, মিষ্টির পাশাপাশি এখানে দেবীকে নিবেদন করা হয় চাউমিন, চপসুই ও সবজি দিয়ে তৈরি অন্যান্য চিনা খাবার। হিন্দু-চিনা ঐতিহ্যের এই অপূর্ব মিলনক্ষেত্র আর তার ইতিহাস জানতে, এক বার ঘুরে আসতেই পারেন এই মন্দির থেকে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মেয়ের ‘বিশেষ বন্ধু’ বাড়ি ঢুকে প্রতিমার ১০ ভরি গহনা নিয়ে পালাল যুবক, তারপর…

লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে গিয়েছে এই সতীপীঠ, এখানে ভ্রামরী রূপে পুজো পান দেবী কালিকা

মায়ের আশীষে রক্ষা পুত্রের, মান্না বাড়িতে বিরাজমান করুণাময়ী কালী

অমাবস্যার পরে কালী মায়ের মূর্তি নিয়ে দেওয়া হয় দৌড়, দেখতে হলে যেতে হবে মালদার এই জায়গায়

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে, প্রতিমার ছবি প্রকাশ্যে

১২ টাকায় শুরু পুজো, ৫০ বছর ধরে পাড়া-পড়শিদের রক্ষা করছেন ধূম্রকালী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ