নিজস্ব প্রতিনিধি: হিন্দুধর্ম মতে নানা পুজো-পার্বণে আমরা সাধারণত উপোস করে থাকি। সারা দিন কিছু না খেয়ে চলে দেব-দেবীদের প্রার্থনা চলে। দিনের শেষে উপোস ভাঙে সরবত নয়তো খাবার খেয়ে। তবে সামনেই নীল ষষ্ঠীর ব্রত। শিবের পায়ে প্রতিটি বাঙালি মায়েরা সমর্পণ করবেন তাঁদের সন্তানের নামে অঞ্জলী ও নৈবেদ্য। কেউ কেউ গঙ্গায় গিয়ে স্নানও করে আসবেন। তবে যে কোনো পুজোর জন্যেই থাকে নির্দিষ্ট উপাচার। তাই পুজোর দিন সারাদিন উপোস থাকতে হয়। পরের দিন কিছু খেয়ে উপোস ভাঙতে হয়।
তবে শিব ব্রতর জন্যে পুঁজির আগের দিন থেকে সংযম পালন করতে হয়। আর নীল পুজো হয় ঠিক চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন সন্ধে নাগাদ। এইদিন শুদ্ধ মনে ভক্তিভাবের সঙ্গে নীলের উপোস মানতে হয় সন্তানের দীর্ঘায়ুর জন্যেই। তবে কোন ধরণের খাবার খেয়ে উপোস ভাঙা উচিত, সে সম্পর্কে ধারণা আছে কি? কারণ সারাদিন উপোসের পরে ঠিক খাবার না খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই জেনে নিন, ঠিক কী খাবার খেলে উপোসের পরে শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না।
১. ফলাহার করুন: উপোস ভাঙার তরমুজ, আঙুর অথবা আপেল খান। এগুলিতে জল থাকে বেশি। তাই হজম হয় তাড়াতাড়ি। তবে লেবু জাতীয় ফল এড়িয়ে চলুন। এগুলিতে গ্যাস-অম্বল হতে পারে।
২. বাদাম খান: কাঠবাদাম অর্থাৎ আমন্ড খেয়েও উপোস ভাঙতে পারেন। এটি খিদেও অনেকটা নিবারণ করতে পারে।
৩. ডাবের জল: ইলেকট্রোলাইটস, খনিজ, ভিটামিন থাকায় ক্লান্তি দূর করে শরীরে পুষ্টির যোগান দেয় ডাবের জল।
৪. মধু এবং লেবুর রস: উপোসের পরে এই পানীয় পান করলে তা শরীরের যাবতীয় টক্সিক উপাদান দূর হবে, লিভারও থাকবে ভালো।
৫. খেজুর এবং দুধ দিয়ে তৈরি স্মুদি: উপোসের পর এই পানীয়টি খাবেন! কারণ খেজুরে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকায় শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠবে খুব তাড়াতাড়ি।