নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষকের লালসার শিকার। উত্তরপ্রদেশে এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দশম শ্রেণীর ১৭ জন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করায় অভিযুক্ত শিক্ষক। জানা গিয়েছে, রাতে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করার নামে ১৭ জন ছাত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়। স্কুলে রাতে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়, সেই কারণেই প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করতে যান ছাত্রীরা। অভিযোগ রাতের দেওয়া খাবারে মাদক ওষুধ মেশানো ছিল। আর সেই খাবার খেয়েই প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করার আগে অচেতন হয়ে যান ১৭ জন ছাত্রী। তারপরেই সমস্ত ছাত্রীদের উপর যৌন নির্যাতন করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। সারারাত ধরে দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতন ও মারধর করেন ওই শিক্ষক।
এমনকি অভিযুক্ত শিক্ষক প্রত্যেক ছাত্রীকে ভয় দেখান, যদি ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলে ফল খারাপ হবে। পরদিন সকাল হতেই প্রত্যেক ছাত্রী স্কুল থেকে চলে যায়। কিন্তু ভয়েতে কিছু বলেনি। পরে ঘটনার কথা চেপে না রাখতে পেরে পরিবারের সদস্যদের বলে দেয় সব কথা। যার ভিত্তিতে স্থানীয় বিধায়কের কাছে চায় পরিবারের সদস্যরা। বিধায়কের নির্দেশেই পুলিশে মামলা দায়ের করা হয়। তারপরেই ঘটনার জানাজানি হয়। নির্যাতিতা ১৭ জন স্কুল পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার কড়া শাস্তি চেয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তবে কেউ গ্রেফতার হয় নি এখনও।
যোগীরাজ্যের মুজফ্ফরনগরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা এটি। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নাগরিক সমাজ। মুজফ্ফরনগরের পুলিশ সুপার অভিষেক যাদব জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীরা প্রত্যেকেই দরিদ্র পরিবারের। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।