নিজস্ব প্রতিনিধি, রোহতক: হরিয়ানার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টারের আশীর্বাদের হাত রয়েছে মাথায়। আর খোদ মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ থাকায় ফের তিন সপ্তাহের জন্য প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন ধর্ষণ, খুন-সহ একাধিক ধারায় সাজাপ্রাপ্ত ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম। চলতি বছরে এ নিয়ে তিন বার প্যারোলে ধর্ষক বাবাজিকে মুক্তি দিল হরিয়ানার বিজেপি সরকার। খুন-ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনায় অভিযুক্ত রাম রহিমকে বার বার প্যারোলে মুক্তি দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও হরিয়ানা সরকারের পক্ষ থেকে ধর্ষককে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সাফাই দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘সব বন্দিরই প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’
খুন, ধর্ষণ-সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ বছর জেল হয়েছে ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান রাম রহিমের। ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে পঞ্চকুল্লার বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক ধর্ষক বাবাজিকে ওই সাজা শুনিয়েছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে হরিয়ানার সুনারিয়া জেলে ঠাঁই হয়েছে রাম রহিমের। কিন্তু বিজেপি ঘনিষ্ঠ হওয়ার দৌলতে কয়েক মাস অন্তর জেল থেকে বেরিয়ে বাইরের হাওয়া খাচ্ছেন ধর্ষক ও খুনি বাবাজি। সোমবার হরিয়ানা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন সপ্তাহের প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন ধর্ষক রাম রহিম। জেল থেকে বেরিয়ে সোজা উত্তরপ্রদেশের বাগপতের আশ্রমে পৌঁছবেন তিনি। সেখানে আরাম-আয়েশে কয়েকদিন কাটিয়ে ফের ফিরবেন সুনারিয়া জেলে।
সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সৌজন্যে একাধিক বার জেলের বাইরে বেরিয়েছেন ধর্ষক রাম রহিম। প্রথমবার অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর একদিনের জন্য মুক্তি পেয়েছিলেন ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান। দ্বিতীয়বার মুক্তি পান ২০২১ সালের ২১ মে। সেবারও মাকে দেখতে যাওয়ার অছিলায় ছুটি পেয়েছিলেন। ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় বারের জন্য প্যারোলে মুক্তি পান রাম রহিম। ৩১ দিনের ছুটি মঞ্জুর হয়েছিল। ২০২২ সালের জুন মাসে তাকে ১ মাসের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয় হরিয়ানা সরকার। ওই বছরই অক্টোবর মাসে রাম রহিমকে ৪০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয় রাজ্য সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফের ৪০ দিনের জন্য মুক্তি পান ধর্ষক বাবাজি। গত জুলাই মাসের ২০ তারিখে টানা এক মাসের জন্য ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছিল।