নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: মধ্যরাত। হোটেলের ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন দুই তরুণী। আচমকাই তাদের গায়ে অপরিচিত ব্যক্তি স্পর্শ করতে শুরু করে। চোখ খুলতেই দেখে তাদের দুইয়ের মাঝে শুয়ে রয়েছে ওই হোটেলের এক ওয়েটার। দুই তরুণী রুদ্ধশ্বাসে ঘর থেকে কোনওমতে বেরিয়ে সোজা চলে যায় রিসেপসনে। ম্যানেজারকে বলে রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। ম্যানেজার পরের দিন সকালে হোটেলের সব ওয়েটারকে দাঁড় করিয়ে ওই দুই তরুণীকে ডেকে পাঠায়। চিহ্নিত করতে বলে, রাতে তাদের ঘরে যে ওয়েটার ঢুকেছিল, তাঁকে। তরুণী ওয়েটারকে শনাক্ত করে। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুলিশ হোটেলে পৌঁছলে তারা ওই ওয়েটারকে তাদের হাতে তুলে দেয়। ধৃতের নাম বালিরাম। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় হোটেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তরুণীর একজনের বয়স ৩৫, দ্বিতীয়জনের ২৫। এরা দুইজনে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীর। কর্মসূত্রে গিয়েছিলেন খান্ডোয়া জেলায়। রবিবার কাজ শেষ করে রাতে এরা হোটেলে ফেরে। হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে ঘরে শুতে চলে যায়। পুলিশকে দেওয়া তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, রাত তখন একটা। আচমকাই বিছানায় কারও নড়াচড়া টের পায়। ধড়ফড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখে তাদের মাঝে শুয়ে রয়েছে হোটেলের ওয়েটার।রাতের পোশাক পরেই তারা হোটেলের রিসেপসনে গিয়ে পৌঁছে ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ম্যানেজার সব ওয়েটারকে হোটেলের লবিতে ডেকে পাঠিয়ে দুই তরুণীকে সেই ওয়েটারকে চিহ্নিত করতে বলে তারা অভিযুক্ত ওয়েটারকে চিহ্নিত করে।