নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৯ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হল চিনা-কানাডিয়ান প্রাক্তন পপ তারকা ক্রিস উ-কে। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে রায়দান করেছে চিনা আদালত। প্রাক্তন পপ তারকার এরকম কেলেঙ্কারি ঘটনায় রীতিমতো উত্তাল গোটা বিশ্ব। পপ তারকার ধর্ষণের অভিযোগে ১১ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়েছে। এছাড়াও বেইজিংয়ের চাওয়াং জেলার আদালত আরও জানিয়েছে, তাঁর এরূপ ব্যভিচারের জন্য এর আগেও তাঁকে এক বছর, দশ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্রিস উ তাঁর শৈল্পিক জীবন শুরু করেন। একজন গায়ক, অভিনেতা, মডেল এবং বৈচিত্র্যময় শো বিচারক হিসাবে তাঁর কোরিয়ার সফল। উ মূলত কে-পপ বয়ব্যান্ড এক্সো (K-pop boyband EXO) -এর সদস্য হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। গত বছর ১৯ বছর বয়সী একজন ছাত্রী ডু মেইঝু, পপ তারকা ক্রিস উ-এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তাঁর দাবি, পপ তারকা প্রায় দু বছর আগে ডু মেইঝুর সঙ্গে ডেটিং করেন, এবং তাঁকে ধর্ষণ করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসা মাত্রই পপতারকার বিরুদ্ধে একাধিক সমালোচনার সৃষ্টি হয়, এবং বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলি তাঁর চুক্তি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও পপতারকার বিরুদ্ধে আরও দাবি উঠেছে যে, উ তাঁর কর্মীদের সঙ্গে চোরাকারবারি করে। এই গল্পটি চিনের ‘মি টু’ (MeToo) আন্দোলনকে আরও যেন উস্কে দিয়েছে, যেটি ২০১৮ সালে হওয়া নারীদের একটি আন্দোলন। যেখানে তাঁরা তাঁদের সঙ্গে হওয়া যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছিলেন।
এদিকে ‘মি টু’ (Me too) আন্দোলনকে ঘিরে বলিউড রীতিমতো উত্তাল। নির্মাতা সাজিদ খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিনেত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগে বলিউড তোলপাড়। তবে, গোটা বিশ্বজুড়ে বিনোদনের একটা বিষয় খুব কমন। ভাষা, গঠন, আঙ্গিক সবকিছুই আলাদা হোক না কেন। প্রযোজক বা অভিনেতাদের কাছ থেকে কু-প্রস্তাব বা কাস্টিং কাউচের শিকার হননি কেউ, তা বোধহয় হাতে গোনা! এই বিষয়টি বিশ্বের সকল বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিরই একটি ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।