নিজস্ব প্রতিনিধি: অক্ষয় কুমার, বলিউডের খিলাড়ি। যার অভিনয়, লাইফস্টাইল নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তাঁর লাইফস্টাইল প্রতিনিয়ত তরুণ দের অনুপ্রাণিত করে চলেছে। বলিউডের নম্বর ১-স্টান্ট হিরোও বলা চলে তাঁকে। তিনি কখনই ছবিতে ভয়ঙ্কর অ্যাকশন দৃশ্যে বডি ডবল ব্যবহার করেন না। তিনি এতটাই কঠোর পরিশ্রমী যে, এক বছরে একাধিক ছবি মুক্তি পায় তাঁর। অভিনেতাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘OMG 2’-তে। তাঁকে আগামীতে দেখা যাবে, ‘মিশন রানিগঞ্জ’-এ। যেখানে তিনি অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন। যাই হোক, একবার তাঁর এহেন পরপর ছবি করার নেশা বিপদে ফেলেছিল অভিনেতা রণদীপ হুডাকে। অক্ষয় কুমারের জন্যই নাকি তিনি বিষাদে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু কেন?
সম্প্রতি নিজের সম্পর্কে একটি বিস্ময়কর ঘটনা উদ্ঘাটন করেছেন রণদীপ। তিনি কিছুদিন আগে তিনি বিষণ্নতার শিকার হয়েছিলেন। যার জন্যে দায়ী ছিলেন একমাত্র অক্ষয় কুমার। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারের রণদীপ জানান, ২০১৬ সালে রাজকুমার সন্তোষীর ‘সারগাড়ীর যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রের ঘোষণা করা হয়েছিল। যেখানে রণদীপ প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এদিকে, ২০১৮ সালে অক্ষয় কুমারের ‘কেশরি’ ঘোষণা করা হয়। দুটি চলচ্চিত্রই একই বছর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুটি ছবিই একই ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি। কিন্তু ‘কেশরি’ ব্যর্থতার কারণে, রণদীপের ছবি মুক্তিই পায়নি। এই কারণে, তিনি বিষণ্নতায় চলে গিয়েছিলেন। ৩ বছরের কঠোর পরিশ্রম করেও ব্যর্থ হয়ে ছিলেন তিনি, কারণ চলচ্চিত্রটি তৈরি করতে ৩ বছর সময় লেগেছিল। চুল ও দাড়ি বাড়িয়ে ছিলেন। এক সময়, অনেক ছবির অফারও প্রত্যাখ্যান করেন অভিনেতা এই ছবির কারণে। কিন্তু যখন যখন চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেল না, তখন খুব কষ্ট পেয়েছিলেন রণদীপ হুডা। বিষণ্নতায় চলে গিয়েছিলেন।
এমনকী অভিনেতা নিজেকে ঘরে বন্দী করে রাখতেন, খুব প্রভাবিত করেছিল তাঁকে। তিনি বলেছিলেন যে তিনি ভয়ে ছিলেন, যাতে কেউ তাঁর দাড়ি কেটে না ফেলে। অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমার বাবা-মা আমাকে একা ছেড়ে যেতেন না। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে এখন আমাকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। অভিনেতা খুব শীঘ্রই ‘বীর সাভারকার’ তে দেখা যাবে।