এই মুহূর্তে

সলমনকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন লরেন্স, কুখ্যাত গ্যাংস্টার হয়ে উঠলেন কীভাবে তিনি?

নিজস্ব প্রতিনিধি: বয়স এখনও ৩০ ছোঁয়নি। আর এই বয়সেই বিশ্বের বড় কুখ্যাত গ্যাংস্টারের তালিকায় ভুক্ত করেছেন লরেন্স বিষ্ণোই নিজের নাম। আইনের ছাত্র থেকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার, একাধিক হেভি ওয়েট খুনের প্রমাণ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, পাঞ্জাবী গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে খুনের দায় স্বীকার করেছে লরেন্স এবং তাঁর সহ কর্মীরা। এখন আপাতত তিনি বাসস্থান গেড়েছেন তিহার জেলে, সৌজন্য সলমন খানকে হত্যা। জেলে রয়েছেন তিনি, তাও মাথা চালিয়েই যাচ্ছেন একের পর এক অপরাধের অপারেশনের ছক কষার জন্যে।

তবে জানেন কী, পাঞ্জাবের বেনামী স্থান থেকে উঠে আসা পুলিশের সন্তান লরেন্স কী করে হয়ে উঠল বিখ্যাত গ্যাংস্টার! শুনুন তাঁর জীবন কাহিনী! যা হার মানবে আচ্ছা আচ্ছা সিনেমার কাহিনিকেও! পাঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলায় ধত্তারনওয়ালি গ্রামে জন্ম তাঁর। তাঁর স্কুল ছিল ডিএভি পাবলিক। এরপরই কলেজ জীবন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই আইনে স্নাতক হন তিনি। তাঁর বাবা ছিলেন পাঞ্জাব পুলিশের প্রাক্তন কনস্টেবল। আইন নিয়ে পড়াশোনা করলেও প্রথম বছরেই টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি। তখন অধ্যক্ষের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই নাকি তিনি জানালা দিয়ে পালান। এরপরেই তাঁর জীবন মোড় নেয় অন্যদিকে। কলেজ জীবন থেকেই শুরু হয় তাঁর রাজনৈতিক বাকবিতন্ডা। তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। আর তখনই তিনি তৈরী করে ফেলেন নিজস্ব গ্যাং।

পরবর্তীতে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় বিখ্যাত গ্যাংস্টার জসবিন্দ সিং এবং গোল্ডির সঙ্গে।রাজস্থান থেকে চন্ডীগড় পর্যন্ত বিস্তৃত হয় লরেন্সর দলবল। তখন থেকেই শুরু হয় হুমকি, সেলেবদের থেকে তোলাবাজি। ২০১০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে খুনের অভিযোগ এবং ২০১১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে ডাকাতির অভিযোগ। সব মিলিয়ে ওই বছরে তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ দায়ের হয়। সূত্র বলছে, বিষ্ণোইয়ের দলে নাকি এই মুহূর্তে রয়েছে ৭০০ গ্যাংস্টার। এমনকী এই মুহূর্তে বিদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে লরেন্সের গ্যাং। এই মুহূর্তে তিহার জেলে বন্দি থাকলেও সেখান থেকেই চালাচ্ছেন তিনি অপারেশন চালাচ্ছেন।২০১৮ সালে তাঁর এক ঘনিষ্ঠ সম্পত মেহরা পুলিশের জালে বন্দি হন।

সেখানেই উঠে আসে লরেন্সের আরেক চক্রান্তের কাহিনি। তিনি একবার অভিনেতা সলমন খানকে হত্যার ছক কষেছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, কৃষ্ণসার হত্যার জন্যেই সলমনকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বিষ্ণোই গ্যাং। লরেন্স যেহেতু জাঠ সম্প্রদায় ভুক্ত, তাই তাঁদের কাছে কৃষ্ণসার পবিত্র। সেই কারণেই তিনি সলমনক সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সম্পত ধরা পড়ে যাওয়ার সেই যাত্রা ভঙ্গ হয় লরেন্সের। ২০২১ সালে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল লরেন্স এবং তাঁর গ্যাংস্টারদের বিভিন্ন রাজ্য থেকে MCOCA মামলায় আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে যোধপুরে গিয়ে সলমনকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন লরেন্স। তবে সেই যাত্রায় সলমন রক্ষা পেয়ে গেলেও সিধু রক্ষা পেলেন না। লরেন্স ও তাঁর গ্যাং একের পর এক গুলি নিক্ষেপ করে খুন করে পাঞ্জাবী গায়ককে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সইফের হামলাকারীর নয়া ছবি প্রকাশ্যে, হামলার পরেই বদলে নিয়েছিল পোশাক

আজ থেকেই প্রেক্ষাগৃহে ‘পুষ্পা ২’-এর বাড়তি ২০ মিনিট দেখতে পারবেন ভক্তরা

TRP-তে চমক! গীতা LLB, ফুলকিকে বোল্ড-আউট করে নতুনের জয়জয়কার

সইফের হামলাকারী অধরা, নিরীহ লোককে পাকড়াও পুলিশের

লস অ্যাঞ্জেলসে বিধ্বংসী দাবানলের মধ্যেই ভারতে ফিরলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

সইফের ওপরে হামলার ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে আটক করল পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর