নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিনেতা নীল নীতিন মুকেশ (Neil Nitin Mukesh) বলিউডের একজন স্বনামধন্য নায়ক হিসেবেই পরিচিত। তিনি বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, ‘জনি গাদ্দার’ (Johnny Gaddaar) ছবির মাধ্যমে। যেটি ছিল, একটি থ্রিলার। আর এই ছবিটিও একটি হলিউডের রিমেক ছিল। এবার এই বিষয়েই একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নীল নীতিন মুকেশ। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে, নীল বলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের এবং লেখকদের সমালোচনা করে বলেছেন যে, বলিউডের নির্মাতা বা লেখক ‘আসল ধারণা এবং বিষয়বস্তু’-র উপর মনোযোগ না দেওয়ার পরিবর্তে সব সময় ‘ফিল্ম রিমেক’ করার সুযোগ খোঁজে। নীল তাঁর কর্মজীবনের প্রথম দিকে, ‘আ দেখেন জারা’ (Aa Dekhen Zara), মধুর ভান্ডারকরের ‘জেল’, এবং সুধীর মিশ্রের ‘তেরা ক্যায়া হোগা জনি’ র মতো একাধিক চলচ্চিত্র বলিউডকে উপহার দিয়েছেন। যদিও এই সময়ে তাঁর প্রধান বাণিজ্যিক সাফল্যও হিট ছবি ছিল, ২০০৯ সালের চলচ্চিত্র নিউ ইয়র্ক, যেটিতে নীলের পাশাপাশি জন আব্রাহাম এবং ক্যাটরিনা কাইফও অভিনয় করেছিলেন।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নীল বলিউডের রিমেক ছবি প্রসঙ্গে বলেন, “বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, পলিটিক্যাল থ্রিলার, হরর থ্রিলার রয়েছে, আমরা কেন সেগুলি অন্বেষণ করছি না? আমরা ছবিতে এখনও মৌলিক ধারণা এবং নতুন ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে আসার পরিবর্তে চলচ্চিত্রগুলির পুনর্নির্মাণ করছি, যেগুলি অন্য কোনো ছবির রিমেক। তাই আমি মনে করি যে, মৌলিক ছবিগুলিতেই আমরা নিরাপদে অভিনয় করতে পছন্দ করব।” নীল ২০১৪ সালে সুপার হিট তামিল চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথমবার শিল্পে সাফল্য পান। তাঁর অন্যান্য প্রধান হিটগুলির মধ্যে রয়েছে, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ এবং সাহু।
নীল পাশাপাশি আরও জানিয়েছেন যে, কীভাবে একজন অভিনেতার মূল্য শুধুমাত্র বাণিজ্যিক সাফল্যের দ্বারাই নির্ধারিত হয়, যে কারণে তিনি সব ধরনের চলচ্চিত্র করে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি বিশ্বাস করি শোবিজ দুনিয়ায় আমাকে একটু বিচক্ষণ হতে হবে এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।কারণ শুধু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে নয়, দর্শকদের কাছেও একজন ভাল অভিনেতার মান থাকে তাঁর বাণিজ্যিক সাফল্যের উপর ভিত্তি করে।” নীলকে শেষবার দেখা গিয়েছিল, ২০১৯ সালের বাইপাস রোড ছবিতে। তবে এটি একদমই ব্যবসায়িক সাফল্য পায়নি। তাঁর আসন্ন ছবির মধ্যে রয়েছে, অঙ্কুশ ভাটের বিলম্বিত ফিল্ম ফিড়কি, যেটিতে কে কে মেনন এবং জ্যাকি শ্রফও অভিনয় করেছেন।