আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভয়াবহ না কি বিস্ফোরণ?
চিনে একদিনে করোনায় যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানাতে এই দুইয়ের মধ্যে কোন বিশেষণটি যুৎসই, তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। চিনে একদিনে (বুধবার, ২৩.১১.২২ থেকে বৃহস্পতিবার, ২৪.১১.২২ সকাল পর্যন্ত ) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। যেটা চিন প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে তা হল, করোনায় নতুন করে মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করায় জারি করা হয়েছিল একাধিক বিধিনিষেধ। সুনির্দিষ্টভাবে কিছু এলাকায় জারি হয়েছিল লকডাউন। তারপরেও ভাইরাসের শৃঙ্খল ভাঙা যায়নি। বুধবার করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ২৯ হাজারের কাছাকাছি। গতকালই ইঙ্গিত মিলেছিল, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। কোনও অবস্থাতেই তা রোধ করা যাবে না। চিন প্রশাসনের আশঙ্কা সত্যি হল। বৃহস্পতিবার চিনের স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে জানিয়ে দেওয়া হল বগত ২৪ ঘণ্টায় চিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, ৩১, ৫৪৫জন। একে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী, সেই সঙ্গে সংক্রমণে লাগাম পরাতে জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। কোথাও কোথাও লকডাউন। ফলে চিনবাসী একপ্রকার দমবন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করছে। অনেকেই আর লকডাউন মানতে চাইছে না। পরতে চাইছে না পিপিই কিট। ফলে, প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে তারা তর্কবিতর্ক জড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে, চিন প্রশাসন বেশ সমস্যায়। কী করে করোনা সংক্রমণে লাগাম পরানো যায়, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চিন্তভাবনা।