আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হিজাব না পরার অভিযোগে তরুণীর গ্রেফতার ও পুলিশ লকআপে তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে ক্ষোভ ক্রমশ দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। অনেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক, টুইটার, টেলেগ্রাম, ইউটিউব এবং টিটটক। এবার বন্ধ করে দেওয়া হল ইন্সটাগ্রাম ও হোয়্যাটসঅ্যাপ। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ বিক্ষোভকারী। সরকারি সংবাদসংস্থা ফার নিউজের তরফ থেকে এই খবর দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, আহত বহু। তাদের সংখ্যা কত, তা এখনও জানা যায়নি। তবে অনেকের আঘাত গুরুতর। ফলে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে প্রাথমিক খবরে বলা হয়েছিল, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন নয়জন। এদের মধ্যে কয়জন পুলিশকর্মী সে বিষয়ে এই খবর লেখা পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। যদিও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, প্রাণ হারিয়েছেন আরও বেশি। সরকার সেই সংখ্যা প্রকাশ করতে নারাজ।
বিনা-হিজাবে রাস্তায় চলাফেরার অপরাধে পুলিশ মাশা আমিনিকে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ লকআপে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ইরানের নানা প্রান্তে শুরু হয় বিক্ষোভ। দাবি ওঠে ঘটানর সঙ্গে জড়িত পুলিশকর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। পরিস্থিতি খুব কম সময়ের মধ্যে অশান্ত হয়ে ওঠায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে দিতে হয়েছে বিবৃতি। তিনি বলেন, এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। যদিও প্রেসিডেন্টের ওই আশ্বাসেও থামছে না বিক্ষোভ।