আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) কতকিছুই না ভাইরাল হয়। কমবেশি প্রতিটি ঘটনাই নেটনাগরিকদের মন জয় করে নেয়। ভাইরাল (viral) হওয়া ঘটনা বহুজনের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা শক্তি হিসেবে কাজ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমন একটি ঘটনা, যা দেখে নেটনাগরিকেরা (netizen) কার্যত হতবিহ্বল।
এই কাহিনি পাকিস্তানের মীরাবের (Meerab)। মীরাব লাহোরের (Lahore) বাসিন্দা। ফ্যাশন ডিজাইনিং (Fashion Designing ) নিয়ে পড়াশোনা করছে। কলেজে যাওয়া-আসার খরচ তো রয়েছে। সেই সঙ্গে খরচ বইকেনার। দরকার টিউশন (tution) নেওয়ার। একসঙ্গে এত খরচ জোগাড় করার জন্য সে কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেনের হোম ডেলিভারির কাজ করে। কাজ করার দৌলতে প্রাপ্য বেতন এবং গ্রাহকদের থেকে পাওয়া টিপস দিয়েই সে পড়াশোনার খরচ মেটায়।
জানা গিয়েছে, অনেকদিন ধরেই সে এই কাজ করছে। সম্প্রতি তাঁর জীবন সংগ্রাম কাহিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ((social media) পোস্ট করেন ফিজ্জা ইজাজ (Fizza Ijaz)। ইজাজ হোম ডেলিভারির জন্য অর্ডার করেছিল। অর্ডার দেওয়া খাবার তাঁর বাড়িতে (home delivery) পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় মীরাবকে। ইজাজের বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে সে ফোনে যোগাযোগ করে। ফোন পেয়ে ইজাজ বাড়ির নীচে নেমে আসে। বয়স কম হওয়ায় মীরাবের সঙ্গে কথা বলে। জানতে চায় এত কম বয়সে সে কেন চাকরি করছে? সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মীরাব জানায়, তার কথা।
ইজাজ (Ijaz) জানিয়েছে, ‘ফোনে ওর গলা পেয়ে নীচে নেমে আসি। অর্ডার ডেলিভারির সময় মীরাবের সঙ্গে কথা বলি। সেই আলাপচারিতাতেই বেরিয়ে আসে ধন্যি মেয়ের গল্প। ’