এই মুহূর্তে




দেশ জুড়ে দুর্ভিক্ষ, খাবারের অভাব পূরণে ২০০ হাতি মেরে ফেলছে জিম্বাবোয়ে




নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধা নিবারণের জন্যে ২০০ হাতিকে বলি দেওয়া হবে জিম্বাবোয়েতে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যেই এমন ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে জিম্বাবোয়ে বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষের। সম্প্রতি জিম্বাবোয়েতে চার দশকের ভয়াবহ খরার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। যার ফলে সেখানকার সাধারণ মানুষের খাওয়ার কষ্ট শুরু হয়েছে, কোথাও কোনও খাবার পাওয়া যাচ্ছেনা। খাবারের অভাবে জনজীবন বিপন্ন। ইতিমধ্যেই খাবারের অভাবে মারা গিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং মানুষের খাদ্যের জন্যে এখানকার বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁরা ২০০ টি হাতি মেরে ফেলবে। এবং হাতির মাংসই মানুষকে খাওয়ানো হবে।

মানবসমাজের তীব্র খাদ্য সংকট রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখানকার বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ। এল নিনোর কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোতে বর্তমানে খরা চলছে। এতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬.৮০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো এলাকায় খাদ্যসামগ্রীর ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। জিম্বাবোয়ে পার্কস অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ অথরিটির মুখপাত্র টিনাশে ফারাভো জানিয়েছে যে, মানুষের খাদ্য সংকট মেটানোর জন্যেই কর্তৃপক্ষ ২০০ টি হাতি মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কাজটি সারা দেশে করা হবে বলে জানিয়েছেন টিনাশে। তবে কীভাবে এই কাজটি করা হবে, তার অনুসন্ধানে রয়েছে। এরপর ওই হাতির মাংস সেইসব সম্প্রদায়ের কাছে পাঠানো হবে, যেখানে চরম খরা। মানুষ খাদ্য নিয়ে চিন্তিত। জিম্বাবোয়েতে আনুষ্ঠানিকভাবে হাতি নিধন শুরু হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। বিশেষ করে হাওয়াঙ্গে, মাবিরে, শোলোশো এবং চিরেজি জেলায়।
গত মাসে, প্রতিবেশী দেশ নামিবিয়াতে ৮৩ টি হাতিও মারা হয়েছিল, যাতে ক্ষুধার্ত মানুষকে মাংস খাওয়ানো যায়। আফ্রিকার পাঁচটি অঞ্চলে ২ লাখের বেশি হাতির বাস। এই অঞ্চলগুলি হল- জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, বতসোয়ানা, অ্যাঙ্গোলা এবং নামিবিয়া। আফ্রিকার এই দেশগুলোতে সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হাতি রয়েছে।

টিনাশে জানিয়েছেন যে, ‘হাতি মারার একটি সুবিধা হল যাতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত থাকে। জঙ্গলে ভিড় কম থাকে। আমাদের বনাঞ্চলে প্রায় ৫৫ হাজার হাতি রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে ৮৪ হাজারের বেশি হাতি রয়েছে। তাই ২০০ টি হাতি মারা গেলেও কোনও অসুবিধা হবে না।’ এদেশে ৫০২২ কোটি টাকার হাতির দাঁত পড়ে রয়েছে। জিম্বাবুয়েতে ক্রমাগত খরা চলছে। মানুষ আর হাতির মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। যার কারণে সম্পদের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। গত বছর জিম্বাবুয়েতে হাতির হামলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জিম্বাবুয়ে, তার ক্রমবর্ধমান হাতির জনসংখ্যার জন্য বিখ্যাত, বর্তমানে বিপন্ন প্রজাতির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জাতিসংঘের কনভেনশনের (CITES) এর জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যাতে হাতির দাঁত ও জীবন্ত হাতির ব্যবসার পথ খুলতে পারেন। জিম্বাবুয়েতে হাতির দাঁতের বিশ্বের বৃহত্তম মজুদ রয়েছে। এখানে প্রায় ৫০২২ কোটি টাকার হাতির দাঁত পড়ে আছে, যা বিক্রি করতে পারছে না জিম্বাবুয়ে। CITES স্বাক্ষরিত হলে এদেশে খাদ্য ও পানীয়ের কোনো অভাব হবে না।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৯ বছর পর পাকিস্তানে পা রাখলেন বিদেশমন্ত্রী, যোগ দেবেন SCO সম্মেলনে

Lakshmi Puja : এই মন্ত্র পাঠ করলে ভক্তের ওপর সদা সর্বদা প্রসন্ন থাকবেন মা লক্ষ্মী

ভারত-কানাডার পারস্পরিক সংঘাতে চরম ঝুঁকিতে ৭০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা

জানেন কী কার অভিশাপে দেবী লক্ষ্মীকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে?

নাচতে নাচতে মৃত্যু, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে করুণ পরিণতি যুবকের

তালিবানি ফতোয়া, কাবুলিওয়ালার দেশে নিষিদ্ধ মানুষ ও প্রাণীর ছবি প্রচার

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর