নিজস্ব প্রতিনিধি: শীতকাল মানেই নানারকম পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম লেগে যায় বাঙালিদের। সেই কারণে গুড়ের খোঁজ করেন প্রত্যেকেই। কারণ গুড় ছাড়া পিঠে পুলির কোনও স্বাদ নেই। গুড় যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ায় তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এছাড়া গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ, তাই গুড় শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং ত্বকের জন্যও উপকারী। এমনকী গুড় ব্রণ, দাগছোপ সরিয়ে দিতে কার্যকরী, বয়সের ছাপ লুকোতেও সাহায্য করে গুড়। তাই অনেকেই অনেকেই আজকাল বিভিন্ন মিষ্টি খাবার তৈরিতে চিনির বদলে গুড় দিচ্ছেন। কারণ ডায়াবেটিস এবং রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে গুড়। ফুসফুসের যে কোনও সংক্রমণ রুখতেও কার্যকরী গুড়। এ কারণে শীতকালে সকলকেই গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অ্যালার্জি নিরাময়েও সাহায্য করে গুড়। জানুন নিয়মিত গুড় খেলে কী কী উপকার হয়-
১. গুড়ের অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কয়লাখনি, সিমেন্ট, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো দূষণ অধ্যুষিত এলাকায় যারা থাকেন, তাদের নিয়মিত গুড় খাওয়া উচিত।
২. গুড়ে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি থাকায় গুড় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩. শরীর থেকে দূষিত পদার্থ ছাঁকতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার। আর নিয়মিত গুড় খেলে লিভারে দূষিত পদার্থ জমার পরিমাণ জন্মানোর আশঙ্কা কমে। শীতকালে যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে তারা নিয়মিত গুড় খেতে পারেন।
৪. সর্দি-কাশি দূর করতে উপকারী গুড়। তাই গুড়ের সঙ্গে বিট লবণ এবং আদা মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশিতে আরাম মেলে। শ্বাসকষ্ট হলেও সমপরিমাণ গুড় এবং সরিষার তেল মিশিয়ে খান। তাতে শ্বাসকষ্টে আরাম মেলে। শরীর দুর্বল থাকলে দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন, তাতে শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠবে। নিয়মিত গুড় খেলে ফুসফুসের মিউকাস পরিষ্কার হয়।