নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিবছর কার্তিক মাসের শেষ দিনে ধুমধাম করে পালন করা হয় কার্তিক পুজো। কার্তিক হল ভগবান শিব ও দূর্গার বড় ছেলে। একাধারে তিনি দেব সেনাপতি, যুদ্ধের দেবতাও বটে। কথায় আছে, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাই হিন্দু ধর্মে এই দেবতার পুজোও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পুজো। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উড়িষ্যা, দক্ষিণ ভারতেও কার্তিক পূজার বিশেষ চল রয়েছে। চলতি বছর নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ অর্থাৎ আজ শুক্রবার পালিত হবে কার্তিক পুজো, এই দিন বাড়িতে দেবতার বিশেষ পুজো করবেন সকলে। তবে কার্তিক পুজোর নিয়ম একাধিক, প্রায় ৩ দিন ধরে চলে এই পুজো। পূর্ণিমার দিনে এই পুজো করা হয় বলে একে কার্তিক পূর্ণিমাও বলা হয়।
যাই হোক, বাংলার ঘরে ঘরে এই সময় একটি ট্রেন্ডও চলে। তা হল, কার্তিক পুজোর ঠিক আগের দিন রাতে সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের বাড়িতে অনেকেই খোকা কার্তিক ফেলে আসেন, এক্ষেত্রে পাড়ার ক্লাব হতে পারে আবার বন্ধুবান্ধবও হতে পারে। আবার আত্মীয়-স্বজনও হতে পারে। কিন্তু এর পেছনে কি ইতিহাস রয়েছে, সেটা জানা আছে কি আপনাদের? শুধুই কি মজার ছলে কার্তিক ফেলে আসা হয়, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনও ইতিহাস। জানা যায়, গ্রাম বাংলার একটি বিশেষ রীতির মধ্যে পরে এটি। বলা হয়, নববিবাহিত বা যাদের সন্তান নেই তাঁদের বাড়িতে যদি কার্তিক পুজো করা হয় তাহলে নাকি কোল আলো করে আসবে ফুটফুটে কার্তিক অর্থাৎ পুত্র সন্তান।
তাই এই প্রথা অনুযায়ী নিঃসন্তান দম্পতি বা নবদম্পতি দের বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলার রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। বিশ্বাস করা হয়, দেবী দুর্গা ও মহাদেবের পুত্র কার্তিক। তাই কার্তিকের আরাধনা করলে পুত্র সন্তান লাভ করা যায়। এছাড়া সংসারের শ্রীবৃদ্ধিও হবে এবং আর্থিক দিকেও লাভ হয়।