এই মুহূর্তে




গভীর রাতে শোনা যায় দেবীর পায়ের আওয়াজ ! ঘোষ বাড়িতে আজও জাগ্রত দেবী




নিজস্ব প্রতিনিধি :  আসছে মা দশভুজা। মর্ত্যে পা রাখতে আর কটা দিন। ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে ভক্তরা। উমাকে স্বাগত জানাতে কোন খামতি রাখছে না পুজোয়। পুজোর গন্ধে ভরে উঠেছে আকাশ ও বাতাস। প্রকৃতি যেন জানান দিচ্ছে মা আসছে..। তবে দেবী দুর্গা নাকি নিজেই পাহারা দেন মন্দির। কোনরকম অন্যায় হলে ছুটে আসেন মা দশভুজা। এমনকী গভীর রাতে মন্দিরের ভেতরে স্পষ্ট শোনা যায় মায়ের পায়ের আওয়াজ। এমনটাই বিশ্বাস করেন হরিপাল ব্লকের বন্দিপুর গ্রামের মানুষজনেরা।

হুগলির হরিপাল ব্লকের বন্দিপুর গ্রামে প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে ঘোষ বাড়ির দেবী রাত্রিবেলা মন্দিরের সামনে দিয়ে হাঁটেন।এমনকী দুর্গা মন্দিরের সামনে রাত্রিবেলা কেউ ঘুমিয়ে পড়লেই, তিনি সকালে উঠে দেখেন তিনি যেখানে শুয়েছিলেন, সেখান থেকে তিনি অনেক দূরে শুয়ে আছেন। ঘুমের মধ্যেই নাকি দেবী দুর্গা এসে নিজের পথের সামনে দিয়ে সরিয়ে দেন।

একজন কিংবা দুইজন নন, বহুজনের নাকি এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে। হরিপাল ব্লকের বন্দিপুর গ্রামের ঘোষ বাড়িতে এই ঘটনাই ঘটে চলেছে বহুবছর ধরে। তাই বাড়ির মানুষেরা বিশ্বাস করেন, যে দুর্গা মন্দিরের দেবী জাগ্রত। তিনিই রাত্রিবেলা মন্দিরের সামনে চলাফেরা করেন। তিনিই অনুপ্রবেশকারীকে নিজের চলার পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেন তবে তা যত্ন ও আদরের সঙ্গে।

আরও একবার নারকেল গাছ কাটতে এসেছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরাও মন্দিরে শুয়েছিলেন। রাত্রিবেলা মন্দির থেকে নেমে এসে নাকি দেবী তাঁদেরকেও সরিয়ে দিয়েছিলেন। শ্রমিকরা ভোরবেলা মাঠের মধ্যে ঘুম ভেঙে উঠে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।পরে তারা বুঝতে পেরছিলেন দেবী এসে সরিয়ে দিয়েছিল তাঁদের।

হুগলির হরিপাল ব্লকের বন্দিপুর গ্রামের এই ঘোষ বাড়িতে প্রত্যেক বছর সেজে ওঠে মহিষাসুরমর্দিনী।  ঘোষ বাড়ির এই পুজো ৩৫০ বছরের পুরনো পুজো। এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা হলেন ভীমচন্দ্র ঘোষ। বন্দিপুরের রায় পরিবারের মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়েছিল। তারপর রায় পরিবারকে অনুসরণ করে ভীমচন্দ্র ঘোষ পরিবারেও করেছিলেন দুর্গা পুজোর প্রচলন। সেই থেকে এখানে দুর্গা পুজো হয়ে আসছে।

তবে ঘোষ পরিবারের কুলদেবতা হল কালাচাঁদ জিউ। যদিও, ষাট বছর আগে কালাচাঁদের অষ্টধাতুর প্রাচীন মূর্তিটি চুরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঘোষ পরিবারে পুজোর প্রসাদ পরিবারের সদস্যরা কেউ খান না। তা দিয়ে দেওয়া হয় পুরোহিত, নাপিত, ঢাকিদের।

ঘোষ বাড়িতে এই নিয়মই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ডালাটি রাখা হয় বাড়িতে। তবে এখানে বলির প্রথা চালু আছে। বলির আওয়াজে কুলদেবতা যাতে রুষ্ট না হয়, তাই বলির সময় কালাচাঁদ জিউর মন্দিরের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখা হয়।

ঘোষ বাড়িতে দেবী প্রতিমা হয় উগ্ররূপী এবং একচালা।পুজোর কটাদিন ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটে ঘোষ বাড়ির। পরিবারের মেয়েরা মিলে সব আয়োজন করে। ছেলেরাও হাত লাগায় পুজোর কাজে। বহু মানুষ এখানে ভিড় জমায়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দেবী লক্ষ্মী আসলে কে ? জানেন কী কীভাবে জন্ম হয়েছিল নারায়ণীর

রাজ্যে দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে আবগারি দফতরের আয় বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ

Lakshmi Puja : এই মন্ত্র পাঠ করলে ভক্তের ওপর সদা সর্বদা প্রসন্ন থাকবেন মা লক্ষ্মী

জানেন কী কার অভিশাপে দেবী লক্ষ্মীকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে?

নাচতে নাচতে মৃত্যু, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে করুণ পরিণতি যুবকের

বাবার খুনি ধরতে পুলিশে চাকরি মেয়ের, ২৫ বছর বাদে পাকড়াও করলেন কিলারকে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর