এই মুহূর্তে




‘তবুও শান্তি আসুক বাংলাদেশে’, বলছেন সব হারানো শিল্পী রাহুল আনন্দ




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি তিনিও সংহতি জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্র সরোবরে নিজের ব্যান্ড ‘জলের গান’-এর সতীর্থদের নিয়ে গানও গেয়েছিলেন আন্দোলনের সমর্থনে। তবুও সোমবার কোটা আন্দোলনকারী কিছু উন্মত্ত নরপিশাচের হাত থেকে রেহাই পাননি শিল্পী রাহুল আনন্দ। ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডে তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল উন্মত্ত রাজাকার বাহিনী। এক কাপড়ে তাঁকে, তাঁর স্ত্রী ঊর্মিলা শুক্লা আর ছেলে তোতাকে বের করে দিয়েছিল। তার পরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল গোটা বাড়িতে। চোখের সামনে বছরের পর বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্ন, শিল্প, সংসার পুড়ে ছাই হয়েছে। তালিকায় ছিল রাহুলের হাতে তৈরি তিন হাজারের বেশি বাদ্যযন্ত্র। কোনও ক্রমে জীবন নিয়ে পালাতে পেরেছিলেন তিনি। রাজাকার বাহিনীর সেই হামলার দুঃসহ ঘোর বুধবারও কাটিয়ে উঠতে পারেননি ‘জলের গান’ এর স্রষ্টা। তবুও সব হারানো রাহুল চাইছেন, ‘শান্তি ফিরুক বাংলাদেশে। সবাই শান্তিতে বসবাস করুন।’

বুধবার শতাব্দী প্রাচীন ধানমন্ডির ‘ভাঙাবাড়ি’ (রাহুল নিজের ভালবেসে বাড়ির নাম রেখেছিলেন)-তে গিয়ে দেখা গেল গোটা বাড়িটা যেন কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। চারপাশে পোড়া গন্ধ। আর স্তপাকৃত ছাই। তার মধ্যে উঁকি মারছে কিছু আধপোড়া বাদ্যযন্ত্র। গত বছর এই ‘ভাঙাবাড়ি’ ঘুরে গিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। এই বাড়িতেই ‘জলের গান’-এর বহু গানের সুর করেছেন রাহুল। গানের প্রতি ভালবাসার টামনে বাড়িটিকে স্টুডিও হিসেবেও ব্যবহার করতেন। এই স্টুডিওতে রেকর্ডিং, মিক্সিং থেকে এডিটিং—সব কাজ হত। দুর্বৃত্তের ক্রোধ ও প্রতিহিংসার আগুনে সেসব এখন শুধুই স্মৃতি।

প্রাণ ভয়ে কোনও এক অজ্ঞাতস্থানে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে আপাতত মাথা গুঁজেছেন ‘জলের গান’ এর স্রষ্টা। বাংলাদেশের প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকা ‘প্রথম আলো’র তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল রাহুলের সঙ্গে। হামলার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন প্রতিবেদক। জবাবে ‘জলের গান’ এর স্রষ্টা বাকরুদ্ধ কণ্ঠে বলেছেন, ‘কথা বলার মতো স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। প্রায় তিন হাজার বাদ্যযন্ত্র পুড়ে ছাই। ওরা আমার সন্তানের মতো। আমি একটা মানুষ বাচ্চাকে জীবিত নিয়ে বের হতে পেরেছি। বাকিরা পুড়েছে বা লুট হয়েছে।’ একটি বার্তাও পাঠিয়েছেন প্রতিবেদককে। সেই বার্তায় নিঃস্ব শিল্পী লিখেছেন, ‘তবু শান্তি আসুক আমার সোনার দেশে, যে কোনও মূল্যে। সে মূল্য যদি হয় আমার সোনার সংসারের পোড়া ছাই অথবা বাদ্যযন্ত্র পোড়া কয়লার বিনিময়ে, তাতেও দুঃখ নেই। ভালবাসি বাংলা আর বাংলার মানুষকে, আমি বাংলায় গান গাই।’ সব হারানো শিল্পী কতটা দেশপ্রেমিক, বোঝা যায় তাঁর চাওয়া দেখেই। কী চান তিনি জানতে চাওয়া হলে ‘জলের গান’ এর স্রষ্টা বলেন, ‘সবার ভাল হোক। ভাল থাকুক আমার বাংলাদেশ।’

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রবেশের বয়সসীমা বেড়ে ৩৫, অবসর ৬৫ বছরে

‘তেল মশলা যুক্ত ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

Durga Puja : কেন দেবী দুর্গা সৃষ্টি করেছিলেন কালী কে ?

বাংলাদেশের প্রাক্তন তিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা

বাগদানের ৬ মাস পর বিয়ে ভাঙলেন ‘বামন’ গায়ক আব্দু রোজিক, কারণ কী?

কে হতে চলেছেন বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার জানেন?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর