নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: ব্যক্তি এক। আর তার বউ তিনজন।
তিন বউয়ের কথা বেমালুম গোপন করে যান পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক (village panchayat secretary)। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যখন তিন বউয়ের দুইজন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন। এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যসরকার ওই পঞ্চায়েত সাধারণ সম্পাদকের (village panchayat secretary)বিরুদ্ধে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দেওসরে। সম্প্রতি সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক (village panchayat secretary)সুখরাম সিংয়ের তিন বউয়ের মধ্যে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন। পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের সময় সুখরাত তাঁর মনোনয়নপত্রে দুটি বউয়ের কথা উল্লেখ করেন। আর পঞ্চায়েত প্রধানপদে (village head),প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন সুখরামের তিন বউ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় স্বামীর নামের জায়গায় এই তিনজন সুখরামের সিংয়ের (Sukhram Singh)নাম লেখেন। সেটা জানাজানি হওয়ার পর মধ্যপ্রদেশ সরকার সুখরামের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চলেছে।
রিপোর্ট অনুসারে, সুখরামের দুই বউ কুশুকালি সিং এবং গীতা সিং পিপড়খর গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন। ওই পদে উর্মিলা সিংও প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন। আর সেটা প্রকাশ্যে আসার পর মধ্যপ্রদেশ সরকার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পাদকের বিরুদ্ধে পদেক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।