আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি থেকে ভারত ছিটকে যাওয়ায় পাকিস্তানকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল যাবতীয় আশা। দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যেক ক্রিকেট ভক্ত চেয়েছিল, এবারের টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন হোক পাকিস্তান। কিন্তু বাটলারদের ধারাল বোলিংয়ে পাকিস্তানের ইনিংস মাত্র ১৩৭ রানে শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে ইংল্যান্ডকে কোনওভাবেই রোখা যাবে না। রবিবার ফাইনালে সেটাই হয়েছে। নাক থেকে যেভাবে নস্যি ঝাড়ে, পাকিস্তানকে ঠিক সেভাবেই ঝেড়ে ফেলল ইংল্যান্ড।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচ গড়াতে না গড়াতে পাকিস্তানকে ধাক্কা দেয় কারান। রিজওয়ানকে মাত্র ১৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। স্কোয়াডকে একটা ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব গিয়ে পড়ে বাবর আজম এবং হ্যারিসের ওপর। হ্যারিসও বাবরকে যোগ্য সঙ্গত দিতে ব্যর্থ হন। মাত্র আট রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
বাবর আজম এবং শান মাসুদ ছাডা স্কোয়াডের বাকি সদস্যরা চূড়ান্ত ব্যর্থ। এই দুই এবং রিজওয়ান ছাড়া বাকিরা দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছতে পারেনি। বলা যেতে পারে, ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের ধাক্কায় খড়কুটোর মতো উড়ে যায় বাবরবাহিনী। বাবর আজম ধরে না খেললে পাকিস্তানের পক্ষে ১০০ রানের গণ্ডী অতিক্রম করাই কঠিন হয়ে পড়ে।
পরে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড শুরু থেকেই ছিল মারমুখী। দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাস্তা একাই প্রশস্ত করে দেন বেন স্টোকস। বাকিদের কাজ ছিল সেই খেলাটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
আরও পড়ুন ফাইনালে মেলবোর্নে তোমাদের অপেক্ষায় রইলাম: কোহলিদের শোয়েব