নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: চন্দননগর ও বিধাননগর পুরসভার সঙ্গেই শিলিগুড়িতেও নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিজেপির কাছে পিছিয়ে তৃণমূল। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন বোর্ড সিপিএমের। তাই নাগরিক পরিষেবার নিরিখে শিলিগুড়ি পুরসভা দখল চ্যালেঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। তাই শিলিগুড়ি পুরসভায় তৃণমূলের মুখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছর নির্বাচনে তাদের ক্যাচলাইন হল ‘শিলিগুড়ি এবার দিদির প্রতিনিধিদের চায়।’ এই ক্যাচলাইন নিয়েই প্রথম থেকেই প্রচারে নেমেছে তৃণমূল প্রার্থীরা। শুক্রবার নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রকাশ পায় ‘শিলিগুড়ির ১০ দিগন্ত’। জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘আমাদের ৪৭টি আসনেই এবার একটাই মুখ তা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ আর আমরা ৪৭ টি আসনেই জয়ী হব।
শিয়রে পুরনির্বাচন তাই হাতে আর সময় নেই। এই কারণেই গত সাত মাস তৃণমূল পুরনিগমের বোর্ডে থাকাকালীন কি কাজ করেছে আর কি কাজ করবে তারই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন প্রচারে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুর প্রশাসক বোর্ড মাত্র সাত মাস সময় পেয়েছিল এই পুরসভায় কাজ করার। কিন্তু এই অল্প সময়েই তারা শহরের উন্নয়নে প্রচুর কাজ করেছে। পাপিয়া দেবী জানান যারা অভিযোগ করেন আমরা কাজ করিনি তারা এই সাত মাসের সময়ে কাজের পরিমান দেখে নিতে পারেন। তবে আমরা আগামিতে কি করব সেই পরিকল্পনা এই শিলিগুড়ির ১০ দিগন্তে উল্লেখ আছে।
তিনি বলেন, শিলিগুড়ি শহর সীমান্ত দিয়ে ঘেরা। তাই শহরের নিরাপত্তা বাড়াতে আমরা সম্পূর্ণ শহরজুড়ে সিসি ক্যমেরা লাগাবো। বাসিন্দাদের সুবিধার্থে আমরা পুরনিগমকে ই-অফিসে পরিণত করব। যাতে অনলাইনেই সব কাজ করা যায়। স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে আমরা ৩০টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলব বিভিন্ন ওয়ার্ডে। পাশাপাশি শহরজুড়ে ভুগর্ভস্থ নিকাশি নালার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিদিন সকালে শহরের মূল সড়কগুলি জল দিয়ে ধোয়ার ব্যবস্থা করা হবে। শহরের যানজট রুখতে রাইটসকে দিয়ে সমীক্ষা করিয়ে হিলকার্ট রোড ও সেভক রোডের বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হবে। আমরা খেলাধুলার দিকেও জোর দেব। যেমন একটি নতুন ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। সকলের প্রিয় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ করা হবে। এছাড়া সাংস্কৃতিক জগতের জন্য শহরে নাটক ও সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র গড়া হবে। আবার পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের সহায়তায় গাজোলডোবা থেকে জল নিয়ে এসে ৪৭০-কোটি টাকার মেগা জলপ্রকল্প তৈরি করা হবে। শুধু তাই নয় শিক্ষার উন্নয়নে পুরনিগমের নিজস্ব একটি বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।
তিনি এও জানান, এর সঙ্গেই নদীগুলো সংস্কার করার পাশাপাশি সেতু তৈরি করা হবে। তাই এবার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবে। আমরা ৪৭টি আসনেই জয়ী হব এবং শিলিগুড়ি মানুষের শিলিগুড়ি শহরকে সুন্দর শহরে পরিণত করার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করব।
