27ºc, Haze
Wednesday, 29th March, 2023 12:38 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (SUVENDU ADHIKARY) নেতৃত্বে বিজেপির (BJP) একটি সভা হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৫ নভেম্বর। সেই সভার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি। প্রথমে অনুমতি দেওয়া হলেও পরে সেই আবেদন খারিজ করে প্রশাসন।
বাঁকুড়ার রাইপুরে এই সভা করার কথা ছিল গেরুয়া শিবিরের। গত ১০ নভেম্বর সেই সভা করার জন্য অনুমতি দেয় প্রশাসন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের সেই সভা বাতিল করার জন্য বলা হয়। মানে, আগামী ১৫ নভেম্বর সভার জন্য দেওয়া অনুমতি বাতিল করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সভা করার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, ঠিক আগের দিন বিজেপির এই সভার জন্যই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, আগামী ১৫ নভেম্বর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বাহিনী দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সভার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গত ৩ নভেম্বর জানা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা সভা হচ্ছে না। এই সভার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সভা হওয়ার কথা ছিল মালবাজারে। ইস্যু ছিল, হড়পা বানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মালবাজারে নিহতদের বাড়ি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সভা থেকে নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল আর্থিক অনুদান। দেওয়া হয়েছিল চাকরি। পাশাপাশি, উদ্ধারকারীদের হাতেও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। দেওয়া হয়েছে চাকরিও। এমনকি শিলিগুড়ি থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ‘জবাব’ দিতেই পাল্টা সভা ডেকেছিলেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, জেলা বিজেপি নেতৃত্বই আর উৎসাহ দেখায়নি এই সভায়। জেলা বিজেপি সূত্রে খবর ছিল, এই সভা হচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমীর দিন পুজো হওয়ার কথা ছিল। শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়িতে পুজো হয়। তবে কি সেই জন্যই সভা বাতিল? পদ্ম শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনই শুভেন্দুর উত্তরবঙ্গ সফরের কোনও খবর নেই। আবার অনেকের দাবি, চুড়ান্ত ব্যস্ততায় সময় দিতে পারেননি তিনি। প্রশ্ন, সভা কোনও কারণে পেছানো হলে, তা ঘোষণা করা হত। তার মানে সভা বাতিল হয়েছিল।