নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বর্তমান সময়ে পরকীয়া সম্পর্ক যেন জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোজই পরকীয়া সম্পর্ক এবং এর জেরে নানান হাড়হিম করা ঘটনা খবরের শিরোনামে উঠে আসছে। এবার সামনে এল আরেকটি অবাক করা ঘটনা। শাশুড়ির সঙ্গেই তলে তলে পরকীয়া চালাচ্ছিলেন জামাই। সম্পর্ক এতটাই গভীরে পৌঁছয় যে নিজের বউকে ফেলে শাশুড়িকে নিয়েই পালিয়ে গেলেন গুণধর জামাই। আর নিজের মেয়ের ভবিষ্যতের কথাও একফোঁটা না ভেবে জামাইয়ের সঙ্গেই নতুন জীবন পাততে গা ঢাকা দিলেন মা। পলাতক যুবকের নাম কৃষ্ণ গোপাল দাস। সে শাশুড়ি শেফালি দাসের সঙ্গে পালিয়েছে বলেই হাওড়া লিলুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা। ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার লিলুয়া বিশ্বাসপাড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে পেশায় ভ্যানচালক বাবলা দাসের মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিয়ে হয়েছি কৃষ্ণ গোপাল দাসের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন ওই যুবক। আর এই সময়ে শাশুড়ি সেফালির সঙ্গেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে কৃষ্ণ। গত শনিবারই জামাইয়ের হাত ধরে পালিয়ে যায় শাশুড়ি। ফলে শাশুড়ি-জামাইয়ের এই ‘কীর্তি’ জানাজানি হওয়ার পরই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, ছোট ছোট কারণে তাঁর উপরে অত্যাচার চালাতেন কৃষ্ণ। এমনকী তাঁকে মারধোরও করতো সে। এর পিছনে কারণ হিসেবে মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক জানতে পেরে যাওয়াকেই দায়ি করেছে প্রিয়াঙ্কা। শেষ পর্যন্ত লজ্জার মাথা খুঁইয়ে বাবা বাবলা দাসকে সঙ্গে নিয়ে মা ও বরের বিরুদ্ধে লিলুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়াঙ্কা। পুলিশও শাশুড়ি-জামাই জুড়িকে খোঁজার জন্য তল্লাশি শুরু করেছে।