এই মুহূর্তে




বেহালাতে বেদনার সুর,টুনটুনি গাড়ির চাকা থমকে গিয়েছে ওদের




নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিপুর: বেহালাতে বেদনার সুর, টুনটুনি গাড়ির চাকা থমকে গিয়েছে ওদের। শান্তিপুরের রাস উৎসবে ওরা আসেন কয়েক পুরুষ ধরে। ওদের বাড়ি ডায়মন্ড হারবার লাইনে আলমপুরে(Alampur)। কয়েক পুরুষ ধরে ওদের মূল পেশা এটা। সারাবছর ধরে বাচ্চাদের জন্য টুনটুনি গাড়ি, টিনের ঢোল আর তিন তারের ছোট্ট বেহালা বানিয়ে বিভিন্ন মেলায় ঘুরে সেগুলো বিক্রি করেন তারা।শান্তিপুরের রাস উৎসবেও ওরা আসেন কয়েক পুরুষ ধরে। মূলত ওরা ওদের পসরা নিয়ে বসেন শ্যামচাঁদ মোড়, বড়বাজার এর সংযোগস্থল রথের স্মরাণ স্ট্রিট আর বাইগাছি পাড়ার দিকে। এবছর কালী পুজোর সময় থেকেই অনেকে চলে এসেছিলেন।

সুফিয়ান শেখ আর তাঁর শ্যালক সাদ্দাম আলমপুরের মগরাহাটে বাড়ি।এরা প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে দোকান বেঁধেছেন রথতলায়(Rathtalay)। এছাড়াও আশেপাশে আছেন আকামোর সেখ, মোজাম্মেল সেখ, ইমাদুল নস্কর। সাইফুদ্দিন নস্কর, ছেলে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সরফরাজকে নিয়ে এসেছেন মেলা চেনাতে। স্ত্রী, মেয়ে নাতনিকে নিয়ে ছাউনি বেধেছেন আমেদ আলী শেখ। এরা সকলেই জানালেন, এ বছর মেলায় লোক নেই, ভাঙা রাসেও জমেনি ভীড়। তাই বেচাকেনা নেই বললেই চলে। সকাল হলেই তারা প্রত্যেকে দোকান ফেলে রেখে মাথায় টুনটুনি গাড়ি(Tuntuni Gari), ঢোল আর বেহালা নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন শান্তিপুরের(Shantipur) আশেপাশের গ্রাম কিংবা পাড়া ঘরে ঘুরে ঘুরে তাদের পসরা বেচতে। আবার দুপুর গড়ালেই ফিরে এসে হোটেলে কিছু খেয়ে নিয়ে দোকান খুলে বসে থাকেন খদ্দেরের আশায়।

সুফিয়ান মন দিয়ে বেহালা বাজাচ্ছেন। ঐ তিন তারের বাদ্যযন্ত্রটিতে অসাধারণ সুর বের করতে পারেনওরা, কিন্তু কেন যেনো মনে হলো সে সুরে বড়ো বেদনা। সুফিয়ান সুর থামিয়ে বললো, আমি সেই বারো বছর বয়স থেকে আব্বার সাথে এই মেলায় আসছি, দেখতে দেখতে তিরিশ বছর হয়ে গেল এই মেলায় আসা। আগে কখনো এত খারাপ বাজার যায়নি। গত ৩-৪ বছর ধরে ২৫/৩০ টাকাতে টুনটুনি গাড়ি বিক্রি করছে সে, সব কিছুর দাম বাড়লেও বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের জিনিসের দাম বাড়াতে পারেনি তারা। সে বেশ বিজ্ঞের মতো জানাল, মানুষের রোজকার খাওয়ার পয়সা যোগাড় করতেই মুশকিল হচ্ছে, কি করে কিনবে আমাদের এই খেলনা ? প্রৌঢ় আমেদ আলি(Amed Ali) বললেন, আমাদের এইসব খেলনা আর চলবেনা, এখন বাচ্চারা মোবাইল চালায়।এখন টিনের ঢোল তৈরি হয় সিন্থেটিক চামড়া দিয়ে। শুধুমাত্র টুনটুনি গাড়ির সরা আর বেহালার মাথা এখনও তৈরি হয় ছাগলের ভুড়ির পর্দাকে পরিস্কার করে ট্যান করে নিয়ে সেটা দিয়ে। অনেক পরিশ্রমের ফসল এই পুরনো দিনের খেলনা। সময় বলবে তা থাকবে নাকি হারিয়ে যাবে আধুনিকতার ছোঁয়ায়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু, কলকাতায় পারদ নামল ১৩ ডিগ্রির ঘরে

রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে এক ধাক্কায় স্বাভাবিক তাপমাত্রার ৪ ডিগ্রী ছন্দপতন ঘটবে

মৌলবাদীদের হাতে ধর্ষণের ভয়ে রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে বাংলাদেশি নাবালিকা

বিধাননগরের ময়লা ফেলার জন্য পাথরঘাটায় নতুন ডাম্পিং স্টেশন হবে, ঘোষণা ফিরহাদের

নিউটাউন থানার আইসি’কে ৭ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

দিনদুপুরেই গেদে সীমান্ত পেরিয়ে গ্রামে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জমির ফসল লুট করছে বাংলাদেশিরা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর