এই মুহূর্তে




ভোটারদের ‘মন বুঝতে’ ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে বুথস্তরে সমীক্ষা তৃণমূলের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতেগুণে আর ঠিক ১ সপ্তাহ সময়। তারপরেই শেষ হয়ে যাবে রাজ্যের(Bengal) ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের(Bye Election of 6 Assembly Seats) প্রচার। সেই প্রচারের সময় হাতে থাকার মধ্যেই এদিন অর্থাৎ সোমবার থেকে ওই ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের ‘মন বুঝতে’ বুথস্তরে সমীক্ষা(Booth Lebel Survey) শুরু করে দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে তাকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছে তৃণমূল। কেননা দেড় বছরের মাথায় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে আর বড় কোনও নির্বাচন নেই। সেই সুবাদেই এই উপনির্বাচনকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। আর জি কর কাণ্ডের(R G Kar Incident) কোনও প্রভাব এবারের নির্বাচনে পড়তে চলেছে কিনা, রাজ্য সরকারের সম্পর্কে আমজনতার মনোভাবে কোনও পরিবর্তন এসেছে কিনা, শাসক দলের প্রতি আমজনতার সমর্থন কতখানি এইসবই দেখে নিতে চাইছে তৃণমূল। যাতে সময় থাকতে থাকতেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের দুর্বলতা, খামতি পুষিয়ে নেওয়া যায়।

আরও পড়ুন, মমতার মাস্টারস্ট্রোক, ভূমিহীন আবাস উপভোক্তারা সর্বাধিক ২ কাঠা করে জমি পাবেন

আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হতে চলেছে সেগুলি হল – উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার সিতাই ও আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট, দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরা, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়া ও নৈহাটি। এই ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রেও তৃণমূলের তরফে একাধিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। সেই পর্যবেক্ষকদের নেতৃত্বেই এদিন থেকে বুথস্তরে সমীক্ষা শুরু করবে ঘাসফুল শিবির। এই পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রিপোর্ট সংগ্রহ করবে। ভোটের আগে কোথাও সংগঠনে খামতি রয়েছে কিনা তা খোঁজ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ভোটারদের কাছে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের যাবতীয় তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরার জন্যও নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। একইসঙ্গে উৎসব চলায় গত কয়েকদিন প্রচার সেভাবে হয়নি। তবে এদিন থেকেই প্রচারে ঝাঁপানোর জন্য দল ও শাখা সংগঠনের নেতানেত্রীদের বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন, কালীপুজো-দীপাবলিতে সারা রাজ্যে ৪ হাজার কোটির বাজি বিক্রি

পর্যবেক্ষকরা এদিন থেকে বুথস্তর ও অঞ্চল সভাপতিদের কাছ থেকে রিপোর্ট নেবেন। কোথাও প্রচারে খামতি হচ্ছে কিনা তা তাঁরা ঘুরে ঘুরে দেখবেন। প্রয়োজনে প্রার্থীকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট জায়গায় গিয়ে প্রচার চালাবেন। ভোটারদের মন বুঝতে দলের প্রার্থী যত বেশি সম্ভব এলাকায় পৌঁছনোর চেষ্টা করানো হবে। তবে ঘটনা হচ্ছে, এদিন থেকে যে বুথস্তরে সমীক্ষা শুরু হচ্ছে সেখানে কোনও ভোটকুশলী সংস্থার কোনও ভূমিকা থাকছে না। সবটাই হচ্ছে দলের মধ্যে থেকে। এর নেপথ্য কারণ হিসাবে উঠে আসছে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল। একটি ভোট কুশলী সংস্থার সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক রয়েছে। সেই ভোট কুশলী সংস্থা লোকসভা নির্বাচন নিয়ে দলকে যে রিপোর্ট দিয়েছিল তা বহুক্ষেত্রেই মেলেনি। উত্তরবঙ্গের ৮টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে যে এবারেও তৃণমূলকে হারাতে হতে পারে তার কোনও ইঙ্গিত তাঁরা দিতে পারেনি। দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের ২টি আসনেই যে দলকে হারতে হবে সেটাও তাঁরা ধরতে পারেনি। পুরুলিয়ার বুকে বিজেপির জয় তাঁদের রিপোর্টে ছিল না। এই সব কারণেই এখন দল ওই ভোট কুশলী সংস্থার ওপর পুরোপুরি ভরসা রাখতে পারছে না। পরিবর্তে দলের নিজস্ব সমীক্ষা গুরুত্ব পাচ্ছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন : মানস ভূঁইয়া

বাবরি মসজিদের পাল্টা মুর্শিদাবাদে তৈরি হবে রাম মন্দির

চাকরির টোপ দিয়ে মহিলাকে ‘কুরুচিকর’ মেসেজ , TMCP-র নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

রূপনারায়ণ নদীর তীরে ‘ওড়ফুলি উদ্যান’ ছোট বড় সকলের উইকেন্ড ডেস্টিনেশন

বিটি রোডে পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা স্কুলবাসে, আহত ১৮ কনস্টেবল

পাকিস্তানের অবৈধ সন্তান হল বাংলাদেশ : শুভেন্দু অধিকারী

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর