নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি থেকে দেশের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের মামলা শুনতে রাজি হল শীর্ষ আদালত। বুধবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না আবেদনকারী অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হবে। যদিও শীর্ষ আদালতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের মামলার শুনানির আগেই বৃহস্পতিবার নিজেদের দুই ‘ইয়েসম্যানকে’ নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের তোড়জোড় শুরু করেছে মোদি সরকার।
গত বছর অগস্টে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে গঠিত কমিটিতে দেশের প্রধান বিচারপতিকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেই প্রমাদ গোনে মোদি সরকার। নির্বাচন কমিশনার পদে নিজেদের ‘পোষ্য ভৃত্য’কে বসানো যাবে না এমন আশঙ্কায় সংসদে বিল নিয়ে আসে। ওই বিলে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটিতে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাখার কথা বলা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও লোকসভায় বিরোধী দলের বা বৃহত্তম দলের নেতা।
কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে বেসরকারি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা এডিআর। ওই মামলার শুনানি হবে আগামী শুক্রবার। পাশাপাশি মোদি সরকার যাতে একতরফা দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতে না পারে তার জন্য গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর। তিনি আর্জিতে বলেছেন, ‘দুই কমিশনার পদে কেন্দ্রের একতরফা নিয়োগ আটকানোর মতো পদক্ষেপ করুক শীর্ষ আদালত।’ ওই মামলার কবে শুনানি হবে তা জানা যায়নি।
