এই মুহূর্তে




‘রাজধর্ম’ পালন না করতে পারলে সরে দাঁড়ান, ইউনূসকে কড়া বার্তা সেনাপ্রধানের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশজুড়ে নারী নিরাপত্তা শিঁকেয় উঠেছে। প্রতিদিনই ঘটে চলেছে একের পর এক নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা। সোমবারই খোদ রাজধানীতে এক মহিলা সাংবাদিককে টানা সাত ঘন্টা আটকে রেখে গণধর্ষণের মতো লজ্জার ঘটনা ঘটেছে। খুন-ছিনতাই তো জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রের খবর, আইনশৃঙ্খলার এমন করুণ পরিণতি নিয়ে সেনাবাহিনীর অন্দরে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে সেই ক্ষোভ স্পষ্টভাষায়  জানিয়ে দিয়েছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। সেই সঙ্গে স্পষ্ট বার্তায় বলেছেন, ‘সঠিকভাবে ‘রাজধর্ম’ পালন করতে না পারলে সরে দাঁড়ান। অযোগ্যদের উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দেন।’ সেনাপ্রধানের ওই বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন, ‘রমজানের মধ্যেই দেশের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে যাবতীয় চেষ্টা চালানো হবে।’ যদিও ওই আশ্বাসে খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারেননি সেনাপ্রধান।

রাজনৈতিক পালাবদলের পরে পাকিস্তানি চর মুহাম্মদ ইউনূসের জমানায় বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বলে কোনও কিছু অবশিষ্ট নেই। প্রকাশ্য দিবালোকে চলছে খুন, ছিনতাই, শ্লীলতাহানি, গণপিটুনি, তোলাবাজি। সাধারণ মানুষ সন্ধের পর রাস্তায় বেরনোর সাহসই পাচ্ছেন না। ঢাকা মহানগর পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খোদ রাজধানীতেই  চলতি মার্চ মাসের প্রথম ১৮ দিনে খুন হয়েছেন ১৪৫ জন। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৩০টি। ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে ১,৭৮০টি। চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটেছ ১,৩৪৫টি। চোখের সামনে অপরাধ সংগঠিত হতে দেখেও নীরব দশক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা। কেননা, অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের সিংহভাগই জামায়াত ইসলামী, বিএনপি এবং সদ্য গঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত ছাত্র নেতাদের তৈরি জাতীয় নাগরিক পার্টির ক্যাডাররা। চলতি মাসের শুরুতেই মোহাম্মদপুরে এক ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। থানায় এসে হুমকি দিয়ে ওই তিন খুনিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক তথা পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট হাসনাত আবদুল্লাহ। অধিকাংশ তোলাবাজিতেই জড়িত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। বিভিন্ন জায়গায় তোলাবাজি আর ডাকাতি করতে গিয়ে পাকড়াও হয়েছে।

সূত্রের খবর, দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিতে অসন্তুষ্ট সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিক থেকে শুরু করে নিচুতলার কর্মীরা। গত সোমবারই এক ভার্চুয়াল বৈঠকে একাধিক সেনা আধিকারিক হাত গুটিয়ে না বসে থেকে দেশে সামরিক আইন জারির পক্ষে সওয়াল করেন। তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘সতর্ক’ করে দেওয়ার কথা বলেন। এদিন দুপুরে যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন সেনাপ্রধান। ওই বৈঠকে মহিলাদের নিরাপত্তা-সহ দেশের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন ওয়াকার উজ জামান। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে না পারলে সেনাবাহিনী যে দেশের মানুষের নিরাপত্তার ভার নিতে প্রস্তুত সে কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার অভিযানকে একমাত্র লক্ষ্য না করে সঠিকভাবে রাজধর্ম পালনের কথাও মোল্লা ইউনূসকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ধর্মবিরোধী’ অভিযোগে গ্রন্থাগার থেকে নজরুল-রবীন্দ্রনাথের বই লুট করল মৌলবাদীরা

করমর্দনের জন্য হাত বাড়ালেন মোল্লা ইউনূস, পাত্তাই দিলেন না ট্রাম্প

বদলের বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনের শহিদের কন্যার আত্মহত্যা

প্রথমবার ঢাকাই সিরিজে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গী চঞ্চল চৌধুরী

সীমান্তে যুদ্ধের পদধ্বনি, ঢাকা সফর বাতিল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীর

বাবাকে দিয়ে তোলা আদায়, কীর্তি ফাঁস হতেই ক্ষমা চাইলেন ইউনূসের যুব উপদেষ্টা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর