এই মুহূর্তে




চট্টগ্রামে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের মঞ্চ গুঁড়িয়ে দিল খালেদার দলের কর্মীরা




নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: হিন্দুত্বের গন্ধ থাকায় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম বদলে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাক গণহত্যাকারীদের দোসর মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। আর তাতেই উ‍ৎসাহিত হয়ে পড়েছে  মৌলবাদীরা। কেন হিন্দুদের উ‍ৎসব পয়লা বৈশাখ ঘটা করে পালন হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলে নববর্ষের আগের দিন রবিবার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণ  অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি মঞ্চ গুঁড়িয়ে দিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। হামলাকারীদের গ্রেফতারের পরিবর্তে পয়লা বৈশাখ পালন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল করিম। ভাঙচুরকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘বিশ্বের কোনও মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে কী পয়লা বৈশাখ উদযাপিত হয়? তাহলে বাংলাদেশে হবে কেন?’

চট্টগ্রামের ডিসি হিলে নববর্ষ উদযাপন পরিষদের অন্যতম সংগঠক প্রণব চৌধুরী জানান,  পয়লা বৈশাখকে স্বাগত জানাতে প্রতি বছরের মতো এবারেও বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়েছিল। ৪৭ বছরে পা দিচ্ছিল অনুষ্ঠানটি। গত কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকটি সংগঠন পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান না করার জন্য হুমকি দিচ্ছিল। রবিবার রাতে ওই সংগঠনের সদস্যরা (পড়ুন বিএনপির সাংস্কৃতিক শাখার নেতা-কর্মীরা) মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে এসে মঞ্চ থেকে শুরু করে সবকিছু ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। এমনকি যাওয়ার আগে হুমকি দিয়েছে, ‘শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত ডিসি হিলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না।’ পয়লা বৈশাখের মঞ্চচ ভাঙচুরের জন্য জেলা প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন পরিষদের সমন্বয়ক সুচরিত দাশ। তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেছেন, ‘প্রশাসন শুরু থেকে আমাদের অনুমতি দিতে গড়িমসি করেছে। অসহযোগিতা করেছে। এ কারণে আজকের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’ ভাঙচুরের আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে ২০টি সংগঠনের একটি তালিকা দেওয়া হয় আয়োজকদের। ফ্যাসিস্টের দোসর অভিযোগ এনে ওই সংগঠনগুলোকে মঞ্চে তুলতে নিষেধ করে দেয় প্রশাসন।

পয়লা বৈশাখ উদযাপনের মঞ্চ ভাঙচুরের খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কর্মীরা।  চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহমদ জসীম বলেন, ‘এই হামলা দেশের অস্তিত্ব ও ঐতিহ্যের জন্য অশনিসংকেত। ঘৃণিত স্বৈরাচার ও মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেই এ জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ডিসি হিলে এ হামলা কেবল অনুষ্ঠান বানচাল নয়, এটা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি, লোকজ সমৃদ্ধ শিল্প এবং অতীতের লড়াইয়ের সকল অর্জনকে ধূলিসাৎ করারই অপচেষ্টা। মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে এই অপচেষ্টাগুলোকে আরও উসকে দেওয়া হয়েছে। সরকার মব সংস্কৃতি এবং মাজার ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ম্যূরাল ও মোটিফে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনার মতোই ডিসি হিলে এ হামলা মোকাবিলায় ব্যর্থ ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। এই হামলা ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলের প্রতিবাদ করতে হবে।’

হিন্দুদের উ‍ৎসব পয়লা বৈশাখ উদযাপন করা যাবে না বলে আগেই হুমকি দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা তথা জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য সচিব মানুনুর রশিদ শিপন। ডিসি হিলের মঞ্চ ভাঙার বিষয়ে ঔদ্ধত্যের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেশ করেছি মঞ্চ ভেঙেছি। বাংলাদেশে হিন্দুত্বের গন্ধ রয়েছে এমন কোনও অনুষ্ঠান করতে দেব না।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ধর্মবিরোধী’ অভিযোগে গ্রন্থাগার থেকে নজরুল-রবীন্দ্রনাথের বই লুট করল মৌলবাদীরা

করমর্দনের জন্য হাত বাড়ালেন মোল্লা ইউনূস, পাত্তাই দিলেন না ট্রাম্প

বদলের বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনের শহিদের কন্যার আত্মহত্যা

প্রথমবার ঢাকাই সিরিজে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গী চঞ্চল চৌধুরী

সীমান্তে যুদ্ধের পদধ্বনি, ঢাকা সফর বাতিল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীর

বাবাকে দিয়ে তোলা আদায়, কীর্তি ফাঁস হতেই ক্ষমা চাইলেন ইউনূসের যুব উপদেষ্টা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর