নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশ যাচ্ছেন বলিউডের ‘দিলবার’ কুইন নোরা ফাতেহি। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে নোরাকে ঢাকায় আসার অনুমতি দিয়েছেন বাংলাদেশ তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। তবে নোরা বাংলাদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেও তাঁকে মানতে হবে একাধিক শর্ত। বিশেষ করে, বাংলাদেশের রাজস্ব বিভাগ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, নোরাকে বাংলাদেশে আসতে হলে নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে তাঁর আয়ের ৩০ শতাংশ অর্থ বাংলাদেশ সরকারকে দিতে হবে।
সঙ্গে বলা হয়েছে যে, নোরা বাংলাদেশ এসে কেবল তথ্যচিত্রের শুটিং ছাড়া আর কিছুতে অংশ নিতে পারবে না। বিশেষ করে যে নাচের জন্যে তিনি বিখ্যাত সেই নাচই তিনি করতে পারবে না। তবে এই অনুমতি প্রদানের সাতদিনের মাথায় দেখা গেল অন্য চিত্র। সূত্র অনুযায়ী, ‘গ্লোবাল অ্যাচিভারস অ্যাওয়ার্ড’ যে প্রতিষ্ঠানটি নোরাকে নিয়ে শ্যুটিং করবেন, সেই প্রতিষ্ঠানই নোরাকে নিয়ে আয়োজনের জন্যে রীতিমতো টিকিট বিক্রি করছে। অথচ তাঁদের কাছে নোরাকে নিয়ে এইভাবে অনুষ্ঠান করার বা টিকিট বিক্রির অনুমতি নেই, যা তথ্য মন্ত্রনালয়ের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, নোরার অনুষ্ঠানের জন্য সেও প্রতিষ্ঠান তিন ধরনের টিকিটের বন্দোবস্ত করেছে। এর মধ্যে ভিআইপি ১৫ হাজার টাকা, গোল্ড ১০ হাজার ও সিলভার ৫ হাজার টাকা।
এদিকে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, নোরাকে ঢাকায় এনে অনুষ্ঠান করার ও তার টিকিট বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে স্পষ্ট ব্যখ্যা করেছেন। অথচ ‘গ্লোবাল অ্যাচিভারস অ্যাওয়ার্ড’-এর সভাপতি ইশরাত জাহানের বক্তব্য, তথ্যমন্ত্রনালয় থেকেই নাকি তিনি টিকিট বিক্রির অনুমতি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন। এর আগে নোরার ঢাকা আসার কথা থাকলেও তা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়, শেষমেষ নোরাকে বাংলাদেশে যাওয়ার অনুমতি দিলেও গোড়ায় গলদ। তথ্যমন্ত্রালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে যে, শুধুমাত্র তথ্যচিত্রের শুটিং ব্যতীত আর কিছুতেই অংশ নিতে পারবে না নোরা। এমনকী ওই তথ্যচিত্র নির্মাণের পর ছাড়পত্র নিতে হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে সেটাও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আয়োজকদের, আর এই থেকে শর্ত ভঙ্গ করলে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তাও স্পষ্ট করা হয়েছে। তারপরেও এমন প্রতারণা। এছাড়াও নোরার রাজস্ব দফতরের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পেশ করে জানানো হয়েছে যে, বিদেশি শিল্পী হিসেবে ঢাকায় এসে কাজ করলে নোরাকে পারিশ্রমিকের ৩০ শতাংশ কর বাংলাদেশকে পরিশোধ করতে হবে।
