এই মুহূর্তে




আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নেই, জানিয়ে দিলেন ইউনূস




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে আচমকাই উল্টোসুর তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের গলায়। পাকিস্তানি এজেন্ট জামায়াত ইসলামী-জাতীয নাগরিক কমিটি সহ ভুঁইফোড় একাধিক দল দাবি জানালেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন এক প্রতিনিধি দলকে ওই কথা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়েই তদারকি সরকার দেশে নির্বাচনের আয়োজন করবে। তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এমন মন্তব্য জাতীয় নাগরিক পার্টি-সহ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং পাকিস্তানি দালাল দলগুলির কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে মুক্তিযুদ্ধের সময় জল্লাদের ভূমিকা পালনকারী পাকিস্তানি শাসকরা। জামায়াত ইসলামী সহ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও গণধর্ষকদের আসরেও নামিয়ে দিয়েছে। জুলাই-অগস্টে হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে রাস্তায় নামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ আরও বেশ কয়েকটি ভুঁইফোড় সংগঠনের তরফেও আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য তদারকি সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। যদিও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি ‘চিরশত্রু’ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিরোধিতা করে চলেছে। তাদের স্পষ্ট কথা, ‘কোনও দল নিষিদ্ধ হবে কিনা, তা ঠিক করবে দেশের জনগণ। ভোটের মাধ্যমেই নিজেদের মতামত জানাবে বাংলাদেশের আমজনতা।’

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে দেশ আড়াআড়িভাবে বিভাজিত হলেও এ বিষয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এটেই ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। শেষ পর্যন্ত এদিন তিনি নীরবতা ভেঙেছেন। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে দলের যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে।’

শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। দেশে বর্তমানে নির্বাচিত কোনও সরকার নেই। দ্রুত নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে লাগাতার চাপ দিয়ে চলেছে বিএনপি-সহ একাধিক দল। কবে দেশ নির্বাচিত সরকার পাবে তা জানতে চেয়েছিলেন  ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিরা। তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তাদের জানিয়েছেন, ‘সরকার নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে এবং নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা হবে না। যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে সীমিতসংখ্যক সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন এই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি বৃহত্তর সংস্কারপ্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনও কারণ নেই। আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ধর্মবিরোধী’ অভিযোগে গ্রন্থাগার থেকে নজরুল-রবীন্দ্রনাথের বই লুট করল মৌলবাদীরা

করমর্দনের জন্য হাত বাড়ালেন মোল্লা ইউনূস, পাত্তাই দিলেন না ট্রাম্প

বদলের বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনের শহিদের কন্যার আত্মহত্যা

প্রথমবার ঢাকাই সিরিজে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গী চঞ্চল চৌধুরী

সীমান্তে যুদ্ধের পদধ্বনি, ঢাকা সফর বাতিল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীর

বাবাকে দিয়ে তোলা আদায়, কীর্তি ফাঁস হতেই ক্ষমা চাইলেন ইউনূসের যুব উপদেষ্টা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর