এই মুহূর্তে

ইউনূসের জমানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানো হচ্ছে জঙ্গিবাদ, স্কুল বিমুখ ৩৭ শতাংশ শিশু

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। এর পর থেকেই ক্রমশ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর চলছে আক্রমন। পাশাপাশি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদনে লাগাতার চলছে আন্দোলন। এই অশান্ত বাংলাদেশে অনেকের দাবি, মহম্মদ ইউনূসের রাজত্বে জঙ্গি সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্কুলে যেতে চাইছেন না পড়ুয়ারা।

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন আমাদের করণীয়’ অনুষ্ঠানে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই তথ্য মারফত জানা গিয়েছে, ৩৬.৫ শতাংশ শিশু শিক্ষার্থী পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়েছে, ২৮.৬ শতাংশ মানসিক ক্ষতির শিকার হয়েছে এবং ৭.৯ শতাংশ শিশুর মেজাজ হয়েছে খিটখিটে।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে  টিচার ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হক ও গণসাক্ষরতা অভিযানের কার্যক্রম ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ জানান যে, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল ছেড়ে রাস্তায় নামা, মিছিল, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মারামারি দেখা, রাজপথে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছোড়ার দৃশ্য দেখা বা শোনা, স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং কারফিউ-অবরোধ কর্মসূচির কারণে ঘরে থাকার ফলে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের ‘ট্রমা’ দেখা দিয়েছে। প্রকাশিত তথ্য মারফত জানা গিয়েছে, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের পরিবর্তনের ফলে স্কুলে না যাওয়ার প্রবণতা ও পড়াশোনার প্রতি অনীহা বেড়েছে। এছাড়া ভয়-ভীতিতে থাকা, ঘুমের সমস্যা হওয়া ও দুঃস্বপ্ন দেখা, বিষণ্ণতা ও হতাশাগ্রস্ত হওয়া, মোবাইল ফোনে আসক্ত হওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, উচ্ছৃঙ্খলতা দেখা দেওয়া বা সহিংস আচরণ করা, পাঠ্যবই বা কারিকুলামে পরিবর্তন নিয়ে ভীত হওয়ার মত প্রভাবও লক্ষ্য করা গেছে।

ফারুক আহমেদ বলেন, “কোভিডের আগে যে শিক্ষাক্রম সংস্কার করা হয়েছে, তাতে শিক্ষার সাথে জড়িতদের মতামত নেওয়া হয়নি। এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর পড়েছে।“ এছাড়াও শিক্ষায় দ্রুত পরিবর্তন ‘সম্ভব নয়’ জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন শিক্ষার্থীদের অনেক  মায়েরাও  শিক্ষক। সেজন্য শিশুর সঠিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে অভিভাবকদেরও প্রশিক্ষণ দিতে হবে।“ আরেক শিক্ষক নেতা আবুল কাশেম স্কুলগুলোতে খেলার মাঠের ব্যবস্থা করার কথা তুলে ধরে বলেন, “যেসব স্কুলে খেলার মাঠ নাই, কিন্তু জমি আছে সেগুলো সংস্কার করে খেলার মাঠ স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।“

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ঢাকায় প্লট বরাদ্দ নিয়ে এবার হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রুজু ইউনূস সরকারের

নিন্দুকদের মুখে ছাই ঢেলে হানিমুনে চুটিয়ে রোমান্স তাহসান-রোজার, ছবি ভাইরাল

বাংলাদেশে ফের সেনার বিশেষ ক্ষমতা বাড়ল ৬০ দিন, মিলল গুলি চালানোর অধিকার

দিল্লিকে লাল চোখ ঢাকার, সীমান্তে বেড়া নির্মাণ নিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব ইউনূস সরকারের

‘বিএসএফকে বেড়া নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না’, দিল্লিকে খুল্লামখুল্লা চ্যালেঞ্জ ইউনূসের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মর্গে ৮ ভারতীয় বন্দির দেহ, তালিকায় বাংলার ১

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর