নিজস্ব প্রতিনিধি: ভূত চতুর্দশীর রাত। হালকা শীতের আমেজে অনেকেই তখন ঘরমুখী। সেই সময়ই সামনে হাজির স্বয়ং মা কালী! জনে জনে বার্তা দিলেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। আর প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিলেন নিষিদ্ধ শব্দবাজি না ফাটানোর। এটাও কী সম্ভব? অনেকটা তাই, এরকমই ঘটনার সামনে পড়লেন ঝাড়গ্রাম শহরের বহু মানুষ। গত দু’দিন ধরে ঝাড়গ্রামের রাস্তায়, বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মা কালী। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিষিদ্ধ বাজি না ফাটানোর আর্জি জানাচ্ছেন। আবার কখনও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা বলছেন।
ভক্তরা সহজে আরাধ্য দেবতার কাছে পৌঁছতে পারেন না, কিন্তু তিনি সহজেই পৌঁছে যান তাঁর ভক্তর কাছে। যুগ যুগ ধরে এমনটাই শুনে আসছি আমরা। তবে ঝাড়গ্রামে যিনি মা কালী সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি রক্ত মাংসের মানুষ। সাধারণ মানুষদের সঠিক পথে চালিত করতে কালীপুজোর আগে ‘মা কালী’ সেজে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের বার্তা দিচ্ছেন সৌমদীপ ভট্টাচার্য্য। তিনি শিল্পী গোপাল মাহাতোর ছাত্র। মূলত তিনিই এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন ঝাড়গ্রামবাসী পরিবেশ রক্ষার পাঠ শেখাতে। আর এই উদ্যোগকে যথেষ্ট স্বাগত জানিয়েছেন ঝাড়গ্রামবাসী।
শিল্পী গোপাল মাহাতোর বক্তব্য, অশুভ শক্তির বিনাশই একমাত্র লক্ষ্য৷ তাই মানুষের কাছে সচেতনতার একটা বার্তা পৌঁছে দিতেই রাতের অন্ধকারে শহরের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানো। তবে শুধু রাতে নয়, দিনের বেলাতেও কালী সেজে ঘুরছেন সৌমদীপ ভট্টাচার্য্য। আর কালী রূপে তাঁকে দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন শিশুরা, বাড়ির মহিলা ও বৃদ্ধরা। কেউ কেউ ভক্তিভরে প্রনাম করছেন আবার কেউ তাঁর কথায় সায় দিচ্ছেন। হাত ধরে প্রতিজ্ঞা করছে, বাজি না ফাটানোর। সবমিলিয়ে ঝাড়গ্রামে এখন একটাই আলোচনা রাস্তায় ঘুরছেন স্বয়ং ‘মা কালী’।