নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ আরও নিম্নমুখী। এক ধাক্কায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাতশোর ঘর থেকে ছয়শোর ঘরে নেমে এসেছে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৭০ জন। দৈনিক সংক্রমণ কমার পাশাপাশি শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেটও কমেছে। ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ থেকে কমে পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশে। তবে দৈনিক মৃত্যু আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেড়েছে। একদিনে নতুন করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ১৪ জন। দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুতে রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। তবে মহানগরীতে দীর্ঘদিন বাদে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুশোর গণ্ডির নিচে নেমেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে আগের দিনের চেয়ে বেশি সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একদিনে ৩০ হাজার ২৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় ৬৭০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৬৫ জনে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশ। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুমিছিলে আরও সামিল হয়েছেন ১৪ জন। এ নিয়ে করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ২১৫ জন।’
স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হারও। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ‘মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৬৪ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৫২১ জন। সুস্থতার হার (৯৮ দশমিক ২৯ শতাংশ) অবশ্য একই রয়েছে। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে ১০৮টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৯ জনে।
রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা মহানগরী। গত ২৪ ঘন্টায় কল্লোলিনী তিলোত্তমায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮১ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন ও মারা গিয়েছেন দুই জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় করোনার ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন আর নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪ জন।