নিজস্ব প্রতিনিধি: ৪ ডিসেম্বর থেকে সংসদে শুরু হতে চলেছে শীতকালীন অধিবেশন। সেই অধিবেশনে সাংসদদের কী কী করণীয় তা নিয়ে একটি নিয়মাবলী জারি করা হয়েছে সংসদে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় সম্প্রতি সেই নিয়মাবলী প্রকাশ করেছেন। ওই তালিকাতে সাংসদদের সংসদে তর্ক, চিৎকার বা স্লোগান দেওয়া থেকে বিরত থাকাসহ সহ আরও বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, এটি ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং বিরোধীদের মধ্যে আরেকটি বিস্ফোরক লড়াই হতে চলেছে। এক দিকে পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল আর অন্যদিকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের সম্ভাবনা।
একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কাউন্সিলে কোনও বিষয় উত্থাপনের নোটিশ চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত এবং সদস্যদের কাছে বিতরণ না করা পর্যন্ত কোনও সদস্য বা অন্য ব্যক্তির দ্বারা প্রচার করা উচিত নয়।”
সচিবালয় জানিয়েছে, প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংসদদের উথ্তাপিত প্রশ্নের আলোচনা কঠোরভাবে গোপনীয়। এতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা বা উত্তর না দেওয়া হয় তবে প্রশ্নোত্তর শেষ না হওয়া পর্যন্ত উত্তর প্রকাশ করা যাবে না।
এদিকে, রাজ্যসভার সদস্যদের জন্য ‘করণীয়’ তালিকায় ‘জয় হিন্দ’ এবং ‘বন্দে মাতরম’ সহ স্লোগান এবং প্ল্যাকার্ড উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমপিদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, বক্তব্যের সময় চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে বসে না থাকতে বা চলে না যেতে। আইন প্রণেতাদের সংসদের শিষ্টাচার বজায় রাখার কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার অর্থ তারা সরাসরি অন্য়ের চেয়ারের কাছে যেতে পারবেন না – যা প্রায়শই সংসদ সদস্যদের প্রতিবাদের সময় ঘটে।
সদস্যদের লিখিত বক্তৃতা না পড়তে বলা হয়েছে। নতুন সদস্যদের প্রথম বক্তৃতা 15 মিনিটের বেশি হতে পারে না এবং তারা প্রতিদিন তাদের উপস্থিতি রেকর্ড করে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য অনুমতি ছাড়া ৬০ দিন অনুপস্থিত থাকলে তার আসন শূন্য ঘোষণা করা যাবে। সংসদ বা তার মাঠে ধূমপান নিষিদ্ধ এবং সংসদের কার্যক্রমের চিত্রগ্রহণ নিষিদ্ধ।