নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২৩-কে পাখির চোখ করে ত্রিপুরায় ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শক্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু যেদিন থেকে ত্রিপুরায় ঘাঁটি গেড়েছে তৃণমূল সেদিন থেকেই বারবার আক্রান্ত হয়েছে। কখনও পুলিশ আবার কখনও বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডাদের দিয়ে মার খেতে হয়েছে তৃণমূলকে। আর তাই সেরাজ্যে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেখাতে বিরাট জনসভা ও মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টুইটারে টুইট করে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী, ‘৩১ অক্টোবর ত্রিপুরা সফরে আসছেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলায় জনসভা করবেন তিনি। ত্রিপুরা জেগে উঠেছে। ছলেবলেকৌশলে বাধা দিচ্ছিল বিজেপি। আসলে ওরা ভয় পেয়েছে।’
প্রসঙ্গত সেপ্টেম্বর মাসেই হাস্যকর কারণ দেখিয়ে বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল কিংবা জনসভা বাতিল করে ত্রিপুরা পুলিশ। তারপরেই আদালতে পুলিশ জানায়, করোনা বিধি ও পুজোর মরশুমের জন্য কোনও জমায়েত বা সভা বা মিছিল ত্রিপুরায় হবে না কিছুদিন। সেই বিধিনিষেধ কাটতেই ত্রিপুরাতে সভা করবেন অভিষেক। তবে শুধুই সভা নয়, ত্রিপুরাতে বারবার তৃণমূল আক্রান্ত হওয়ায় সেখানকার কর্মীদের পাশে দাঁড়াতেও যাচ্ছেন সাংসদ অভিষেক। সেই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘৩১ অক্টেবর বিপ্লব দেব সরকার বুঝবে, এ বার আসল বিপ্লব শুরু। ঝড়ের নাম অভিষেক।’
ত্রিপুরায় অমরপুর নতুন বাজারে মঙ্গলবার সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই সভায় প্রায় এক হাজার জনের তৃণমূলে যোগদানের কথা ছিল। সেখানেই গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি, তৃণমূলকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি-র বিরুদ্ধে। সেই সভায় যোগ দিতে আগরতলা থেকে অমরপুর নতুন বাজারে যাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল এবং সুবল ভৌমিক। মাঝরাস্তায় তাঁদের পুলিশ আটকায় বলে অভিযোগ জানান কুণাল। এই ঘটনার প্রতিবাদে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব।