এই মুহূর্তে




‘পারলে কম কাজ করুন, …’, ৯০ ঘন্টা কাজ নিয়ে কটাক্ষ এইচসিএলের প্রাক্তন সিইও’র




নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: সপ্তাহে ৯০ ঘন্টা কাজের কথা বলে কার্যত ভিমরুলের চাকে ঢিল ছুড়েছেন লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর (এলঅ্যান্ডটি) চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যন। শিল্প সংস্থার কর্ণধার থেকে বলিউড অভিনেত্রী, নেটা নাগরিক থেকে সমাজপ্রভাবীরা চোখা-চোখা বাক্যবাণে বিঁধছেন তাঁকে। শনিবারই সপ্তাহে ৯০ ঘন্টা কর্মদিবস নিয়ে মুখ খুলে এল অ্যান্ড টি’র চেয়ারম্যানকে কটাক্ষ করেছিলেন দেশের শীর্ষ শিল্পপতি তথা মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার আনন্দ মাহিন্দ্রা। আর এবার এল অ্যান্ড টি’র চেয়ারম্যানের ৯০ ঘন্টা কাজের নিদানের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রযুক্তি সংস্থা এইচসিএলের প্রাক্তন সিইও বিনীত নায়ার।

লিঙ্কড্‌ইন নামের কাজ খোঁজার সমাজমাধ্যমে এইচসিএলের প্রাক্তন সিইও লিখেছেন, ‘এটা কখনও বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়, একজন ব্যক্তি কতক্ষণ কাজ করছেন কিংবা কতক্ষণ কাজ করা উচিত। বরং কীভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায়, ভালভাবে বাঁচা যায়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। কর্ম ঘন্টা দিয়ে কখনও কাজের বিচার হয় না। আপনি চাইলে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারেন। সম্ভব হলে কম কাজ করুন। সংখ্যাটা কোনও ব্যাপার নয়। জীবনকে উপভোগ করতে পারছেন কিনা, আপনার ব্যক্তিগত জীবন থাকছে কিনা, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’ জীবনকে গুরুত্ব না দিয়ে দীর্ঘক্ষণ কাজ করা শক্তির অপচয়-ই শুধু নয়, ইতিবাচক কোনও চিন্তাভাবনারও জন্ম দেয় না। আসল উদ্দেশ্যও অধরা থেকে যায়।’ এদিন ৯০ ঘন্টা কাজ নিয়ে খোঁচা দেওয়ার পাশাপাশি মাথায় মালিশ নেওয়ার এক ছবিও আপলোড করেছেন এইচসিএলের প্রাক্তন সিইও। ওই ছবি পোস্ট করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, বেশিক্ষণ কাজ করলে মাথায় যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। বুদ্ধি এক জায়গায় থমকে যেতে পারে।     

৯০ ঘন্টা কাজের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘আমার আফসোস হয়, আপনাদের রবিবার কাজ করাতে পারছি না। যদি পারি, আরও খুশি হব। কারণ, আমি রবিবার কাজ করি। কী করবেন বাড়িতে বসে? কতক্ষণ স্ত্রীর মুখ দেখবেন? কতক্ষণ স্ত্রীরাই বা স্বামীর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন? তার চেয়ে অফিসে আসুন এবং কাজ শুরু করুন।’

শনিবারই ৯০ ঘন্টা কাজ নিয়ে মুখ খুলে মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার আনন্দ মাহিন্দ্রা বলেছিলেন, ‘নারায়ণ মূর্তি (ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা) এবং অন্যদের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা আছে। তাই অবশ্যই তাদের মন্তব্য ভুল এটা বলব না। কিন্তু আমার মনে হয় এই বিতর্ক ভুল পথে যাচ্ছে। আমার একটাই বক্তব্য, তাহল, আমাদের কাজের মানের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে, কাজের পরিমাণের দিকে নয়। তাই এটি ৪৮, ৪০ ঘন্টা নয়, এটি প্রায় ৭০ ঘন্টা নয়, এটি প্রায় ৯০ ঘন্টাও নয়।’ দেশের শীর্ষ শিল্পকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি সপ্তাহে কত ঘন্টা কাজ করেন? স্পষ্ট কোনও জবাব না দিয়ে মাহিন্দ্রা কর্ণধার খানিকটা ঘুরিয়ে উত্তর দেন, ‘আমি এই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাই। আমি চাই না এটি সময়ের বিষয়ে হোক। আমি চাই না এটি পরিমাণ সম্পর্কে হোক। আমাকে জিজ্ঞাসা করুন আমার কাজের মান কী? আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন না আমি কত ঘন্টা কাজ করি।’ সমাজমাধ্যমে অনেকের চেয়ে বেশি সক্রিয় মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার। তাঁর কাছে  জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘তিনি এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ কত সময় ব্যয় করেন? জবাবে আনন্দ মাহিন্দ্রা বলেন, ‘আমি বন্ধুত্ব করতে সমাজমাধ্যমে অতিসক্রিয় নই। বরং দুর্দান্ত ব্যবসায়িক হাতিয়ার বলেই নিয়মিত অনুসরণ করি।’ বউয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সময় কাটানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার স্ত্রী অপূর্ব। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে খুবই ভালবাসি।মনে হয় সারাক্ষণই তাকিয়ে থাকি।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মার্চেই লঞ্চ হচ্ছে 80W ফাস্ট চার্জিং স্পিড বিশিষ্ট iQOO Neo 10R, দুর্দান্ত অফারেই মিলবে এই ফোন

চা-বিস্কুটের পেছনে খরচ ৮ লক্ষ ! বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য দেখলে চমকে উঠবেন

ডিগ্রি পেলেই লক্ষ লক্ষ টাকার প্যাকেজ, কোন কোর্সে মিলবে এমন সুযোগ?

শৌচারগারে নার্সের রহস্যমৃত্যু , খুন নাকি আত্মহত্যা ! বাড়ছে জল্পনা

নয়দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় ১২ বছরের দত্তক পুত্রকে হারালেন এক নিঃসন্তান দম্পতি

হাতে হাতকড়া, পায়ে শিকল বেঁধে আরও ১২০ ভারতীয় অভিবাসীকে পাঠালেন বর্বর ট্রাম্প

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর