এই মুহূর্তে




বিহারে মহাজোট জিতলে লালুপুত্র তেজস্বী-ই মুখ্যমন্ত্রী, জানিয়ে দিলেন কানহাইয়া কুমার




নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: বিহারে মহাজোটের নেতৃত্ব নিয়ে কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন। কানহাইয়া বলেছেন, বিহারে মহাজোটের নেতা হলেন তেজস্বী যাদব। যদি জোট নির্বাচনে জয়লাভ করে, তাহলে তেজস্বী হবেন মুখ্যমন্ত্রী। কানহাইয়া কুমার বলেন যে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে কানহাইয়া বলেছেন যে নির্বাচনে ইস্যুগুলি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হবে। জোটের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেই বিষয়টি উত্থাপন মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা নয়। রাজনৈতিক বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে।

কানহাইয়া কুমার দাবি করেছেন বিজেপি সুযোগ পেলেই মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে সরিয়ে তার জায়গায় বিহারের নিজস্ব নেতাকে বসাবে। তিনি অভিযোগ করেন যে বিজেপি তার পুরনো কৌশল অনুসরণ করছে – প্রথমে একটি আঞ্চলিক দলের সমর্থন নেওয়া এবং তারপর “ধীরে ধীরে সবটা গ্রাস করা”। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা চলতি বছরের অক্টোবরে হতে পারে। নির্বাচনের আগে বিহারে ক্ষমতার লড়াই চলছে।

শুক্রবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে কানহাইয়া কুমার বলেন যে আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে যদি ‘মহাজোট’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী আরজেডি থেকে হবে। জোর দিয়ে শেষে তিনি বলেন তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়ার বিষয়ে “কোনও বিভ্রান্তি বা বিরোধ নেই”।

কংগ্রেস নেতা দাবি করেছেন যে বিহারে এবার ‘পরিবর্তনের হাওয়া’ আগের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় আরও জোরদার হবে। বিজেপি অপারেশন সিঁদুরকে ইস্যু হিসেবে উত্থাপন করছে না কারণ তারা জানে যে বিহারের মানুষ এতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাবে। বিহারবাসী বিশ্বাস করেন এটি দেশের সম্মানের বিষয়। উল্লেখ্য, শেষবার ২০২০ সালে যখন বিহারে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তখন বালাকোট হামলার কথা উঠেছিল। ২০১৯ সালে এনডিএ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় ক্ষমতায় এসেছিলেন। এবার অপারেশন সিঁদুরের কথা বলা হচ্ছে।

২০২০ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৭৪টি আসন জিতেছিল। জেডিইউ পেয়েছিল ৪৩টি আসন। এরপর, এনডিএ-র একটি অংশ বিকাশশীল ইনসান পার্টি পেয়েছিল ৪টি আসন এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চাও ৪টি আসন পেয়েছিল। রাষ্ট্রীয় জনতা দল  ৭৫টি আসন জিতে বিহারে বৃহত্তম দল হয়ে ওঠে। কংগ্রেস ১৯টি আসন জিতেছে। অন্যদিকে বামপন্থী দলগুলি ১৬টি আসন পেয়েছিল। নির্বাচনের পর, নীতীশ কুমার এনডিএ নেতা নির্বাচিত হন এবং সপ্তমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন।

মহাজোটের রাজনীতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কানহাইয়া কুমার প্রবীন এবং নবীনের প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আপনি যদি একটি গাড়ির দিকে তাকান, তাহলে ক্লাচ ততটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা ব্রেক এবং রিয়ার ভিউ মিররের ।” আরজেডিকে একটি বৃহৎ দল হিসেবে মেনে নিয়ে কানহাইয়া বলেন, “এটা সত্য যে আরজেডি একটি বৃহৎ দল, তাদের আরও বিধায়ক রয়েছে, তারা মহাজোটকে নেতৃত্ব প্রদান করেএবং তিনি বিরোধী দলের নেতার পদটি ধরে রেখেছেন। স্বাভাবিকভাবেই, এটি তাদের দায়িত্ব।”

বিহারে কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান মুখ কানহাইয়া কুমার। তিনি এদিন স্পষ্ট বলেছেন, “মহাজোটে সকল সাংবিধানিক দলের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে। এখন বিকাশশীল ইনসান দলের মুকেশ সাহনিও এই ‘মহাজোটের’ একজন অংশ।”




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নেপাল-চিন সীমান্তে আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেল একের পর এক গাড়ি, নিখোঁজ অন্তত ১৮

দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে NRC নোটিশ, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

ভূত তাড়ানোর নামে মাকে পিটিয়ে মারল ছেলে

তামিলনাড়ুতে রেললাইন পার হওয়া স্কুলবাসে ট্রেনের ধাক্কা, ৩ শিশুর মৃত্যু

ডাইনি অপবাদে পূর্ণিয়ায় একই পরিবারের ৫ জনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন

পরকীয়ায় বাধা! প্রেমিকের সঙ্গে মিলে প্রতিবন্ধী স্বামীকে গলা টিপে খুন করলেন তিন সন্তানের মা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ