নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিপুরায় যত শক্তি বাড়ছে ততই বাধা দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরাতে পুরভোট, তার আগেই বারবার হামলা কিংবা আক্রমণ শানানো হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের উপর। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এবার ভিন্ন কায়দায় ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেসের উপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের পুরভোট পরিচালনার জন্য ন’জন উপসেনাপতি পাঠিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বঙ্গ থেকে যাওয়া তৃণমূল নেতাদের আশ্রয় স্থল কেড়ে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে ত্রিপুরার বিজেপির নেতারা। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার বিভিন্ন হোটেলে তৃণমূল নেতাদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না এই ফতোয়া জারি করেছেন বিজেপি নেতারা।
সেই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্নায় বসতেও দেখা গিয়েছে, তৃণমূল নেতাদের। গত শনিবার রাতে ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়া এলাকায় আচমকাই একটি হোটেলের মালিককে হুমকি দিয়ে আসে, বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডারা। জানা গিয়েছে, সেখানকার এক হোটেলে রয়েছেন বাংলার তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিধায়ক খোকন দাস-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। তাঁদের হটেলে জায়গা দেওয়া যাবে না বলেই হুমকি দেন বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডারা। এর আগে শুক্রবারও একইভাবে হুমকি দেওয়া হয় হোটেল মালিকদের, অভিযোগ তৃণমূলের। তাই বাধ্য হয়েই তৃণমূলের নেতাদের হোটেল ছাড়তে হচ্ছে। আপাতত কোনও হোটেল তাঁদের রাখতে রাজি হচ্ছে না বলে খবর।
এই বিষয়ে ত্রিপুরা তৃণমূলের নেতা ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আশিসলাল সিং জানিয়েছেন, ‘দলের তরফে পুলিশ সুপার, এসডিপিও-সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তাকে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কথাও তাঁদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না পুলিশ।’ এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘বাংলার ভোটের সময় তো প্রতিদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা নিত্য আসা যাওয়া করতেন। বাংলার একাধিক হোটেলে থাকতেন তাঁরা। সেইসময় তৃণমূল কিন্তু এমন কাজ করেনি। আসলে ত্রিপুরা বিজেপি ভয় পাচ্ছে। তাই এমন আচরণ করছে।’ এর আগে আইপ্যাক কর্মীদের হোটেলে গিয়ে আটক করে ত্রিপুরা পুলিশ। পুরভোটে লড়াই করা একাধিক তৃণমূল নেতাদের উপর হামলা কিংবা বাড়ি ঘর ভাঙা হয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের কনভয়েও হামলা হয়। তাই ত্রিপুরাতে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি করতেই দাঁত-নখ বের করে হামলা চালাচ্ছে বিজেপি, এই অভিযোগই বারবার করেছে ঘাসফুল শিবির।