27ºc, Haze
Wednesday, 29th March, 2023 12:10 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: শারদ আবহে দিন গুনছে প্রতিটি বাঙালি। গত দুবছর করোনা মরসুম কাটিয়ে ফের উৎসবের মরসুম চারিদিকে বইছে। কলকাতা যেমন থিমে সাজছে মা দুর্গাকে স্বাগত জানানোর জন্যে। তেমনি বাংলার শহরের পাশাপাশি বাংলার গ্রাম-বাংলাও কিন্তু সাজছে মা আসার আনন্দে। তবে আধুনিক প্রজন্মে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পুজোতেও আধুনিকতার ছোঁয়া টানছেন। শেষ হতে বসেছে বনেদি পুজোর ঐতিহ্যও। তেমনি আমাদের বাংলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক বনেদি বাড়ির পুজো। নদিয়া জেলার শান্তিপুরে যে ক’টি বনেদি বাড়ির পুজো রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম চাঁদুনি বাড়ির দুর্গাপূজা৷ এই চাঁদুনি বাড়ির নামেই হয়েছে শান্তিপুরের চাঁদুনি পাড়ার নামকরণ।
আদতে এটি মুখার্জিদের বাড়ি। এই বাড়িতে বিখ্যাত কালীপুজো হয়। তবে এই বাড়ির শক্তির আরাধক পূর্ব পুরুষেরা। তাঁরাই এই পুজোর সূচনা করেন। এ-বাড়ির আদি পুরুষ ছিলেন কাশীনাথ সার্বভৌম। শোনা যায়, তিনি নাকি ছিলেন চৈতন্যদেবের গৃহ শিক্ষক৷ তাঁর হাত ধরেই এই পুজোর সৃষ্টি হয়েছে। ৫০০ বছরের অধিক পুরনো এই পুজো। আর এই বাড়ির দুর্গা মূর্তিটি হন কাত্তায়নী মূর্তি। কারণ এখানে দেবী কাত্তায়নী রূপেই পূজিত হন। আর এই অপরূপ মূর্তিটি নির্মাণ করেছিলেন শ্রদ্ধেয় শিল্পী গোরাচাঁদ পাল মহাশয়। জানা যায়, আগে এই পুজোটি আটচালা মন্দিরে হত। পরবর্তীতে নতুন ভবনে এই পুজো হয়।
দেবী এখানেও দশভুজা ও সাদা অশ্বমুখের সিংহাড়ুর। মূর্তির গায়ে শৈল্পিক কারুকার্য নজরকাড়া। এই বাড়ির পুজোয় হয় না সন্ধিপুজো। দশমীর রীতিতে ঠাকুরকে বিসর্জনের আগে দেওয়া হয় পান্তা ভাত, ইলিশ মাছের টক এবং গোটা মশলা। আর এই প্রথা হওয়ার কারণ, যাতে কন্যা উমার কৈলাসে ফিরে গিয়ে যেন সেদিন আর রাঁধতে না হয়। এই কল্পনাতেই এসব দেওয়া।