নিজস্ব প্রতিনিধি: দিন কয়েক আগেই তামিল ব্লকবাস্টার ‘পন্ন্যিয়িণ সেলভান’-ছবির প্রোডাকশনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ এনে গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। তাঁদের একাধিক অফিসে তদন্ত চালিয়েছিল সিবিআই। এদিকে আরিয়ান খানকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসনো এবং ঘুষ নেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত প্রাক্তন মাদক বিরোধী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়েকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে সিবিআই। এর মধ্যেই বলিউডে আবারও হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। ১১৯ কোটি টাকারও বেশি IDBI-ব্যাঙ্ক জালিয়াতির (FRAUD CASE) অভিযোগে স্বনামধন্য প্রযোজক জসপ্রীত সিং ওয়ালিয়া ওরফে বান্টি ওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই। আইডিবিআই ব্যাঙ্ক সূত্রানুযায়ী, ২০০৮ সালে জুন মাসে সঞ্জয় দত্ত এবং বিপাশা বসু অভিনীত ‘লমহা’ ছবিটি তৈরির জন্যে প্রযোজক বান্টি ওয়ালিয়া ব্যক্তিগত গ্যারান্টির ভিত্তিতে ফাইন্যান্সিং স্কিমের অধীনে লোন অর্থায়ন করেছিল। তাঁর সংস্থার নাম জিএস এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড (GSEPL)। ২৩.৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ কোটি টাকা এবং ৪.৯৫ কোটি টাকার একটি RTL অনুমোদন করা হয়েছিল৷
ব্যাঙ্কের কথায়, ফিল্মটির মুক্তি ২০০৯ সালে হওয়ার কথা থাকলেও প্রচারক এবং প্রদর্শকদের বিরোধের কারণে, এটির মুক্তি বিলম্বিত হয়। এরপর জিএসইপিএল, পিভিআর এবং আইডিবিআই ব্যাঙ্কের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদনের অধীনে ব্যাঙ্ক PVR-কে বিশ্বব্যাপী ছবিটির মুক্তির জন্য একমাত্র পরিবেশক হিসাবে নিযুক্ত করে। ২০১০ সালের ২ জুন, GSEPL এবং PVR-এর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগটা ঠিক কী? ব্যাঙ্কের অভিযোগ, “PVR-কে একমাত্র পরিদর্শক হিসেবে নিযুক্ত করা হলেও সে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যাতে প্রায় ৮৩.৮৯ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে৷ কোম্পানির মোট উপার্জন ছিল ৭.৪১ কোটি, কিন্তু ছবির প্রচার এবং বিতরণেই ৮.২৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়ে গিয়েছিল।”
ব্যাঙ্কের আরও অভিযোগ, একটি ফরেনসিক অডিট অনুযায়ী সংস্থাটি একটি ‘ভুয়ও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ জমা দিয়েছিল। যা GSPL-এর বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, রেকর্ডের জালকরণ, জনসাধারণের অর্থের অপব্যবহার, ভুল উপস্থাপনা এবং বিশ্বাসের অপরাধমূলক লঙ্ঘন-সহ একাধিক অভিযোগ প্রমাণ করে। ফলে ঋণ জালিয়াতি ঘোষণা করা হয়েছে।ওয়ালিয়া সহ, আরও একাধিক ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সিবিআই। এমনকী তাঁদের বিরুদ্ধে, ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং জালিয়াতির পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিধানগুলির অধীনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।