নিজস্ব প্রতিনিধি: সপ্তাহ দুয়েক আগেই শুরু হয়েছে বাংলার জনপ্রিয় মিউজিক রিয়্যালিটি শো জি বাংলা ‘সা রে গা মা পা’ (Sa Re Ga Ma Pa)। বছর বছর এই শোয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কারণ এই শো থেকেই বাংলার অনেকে শিল্পীদের আবিষ্কার হয়েছে, এবং তাঁরা পৌঁছেছেন জাতীয় স্তরে। যে তালিকায় রয়েছেন, অরুনিতা কাঞ্জিলাল, অনিক, অন্বেষা সহ প্রমুখ বর্তমান যুগের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীরা। আর প্রতিবছরই এই শোয়ে থাকছে নিত্যনতুন চমক। কারণ বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের পাশাপাশি এই শোয়ের বিচারকের আসনে জায়গা করে নেন মুম্বই স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পীরাও। এমনকী গতবছর থেকেই এই শোয়ে কোচের পদও নিযুক্ত হয়েছে। যাঁরা প্রতিযোগীদের সাপোর্টার হিসেবে আছেন।
আর এই কোচের আসনে থাকছেন বাংলার প্রথম সারির গায়ক-গায়করা। যাই হোক, চলতি সিজনে এই শোয়ে অংশগ্রহণ করেছেন আট থেকে আশি প্রতিযোগিরা। আর মঞ্চের শুরু থেকেই বড়দের থেকেও তাক লাগাচ্ছে খুদেরা। তাঁদের অসাধারণ প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন বিচারক থেকে দর্শক, সকলেই। তবে সম্প্রতি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, এই শোয়ের বিচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত নিলেন স্বয়ং পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। তিনি, মূল প্রতিযোগীতা থেকে খুদে গায়ক-গায়িকাদের বাদ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, এত অল্প বয়সে শুধুমাত্র প্রতিযোগীতায় মনোনিবেশ করলে ক্ষতি হতে পারে শিশুদের ভবিষ্যত। তিনি বলেন, ‘স্কুলের পড়াশোনা এবং নানা চাপের মধ্যে দিয়ে ওদের বড় হতে হয়। আমার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়, পড়াশোনা থেকে আলাদা করে ওদের এই প্রতিযোগিতায় রাখাটা আমাদের পক্ষে খুব একটা উপযুক্ত কাজ হবে না।’
তবে সম্পূর্ন খুদে প্রতিযোগীদের এই মঞ্চে উপস্থিত হতে না করেননি তিনি। শোয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত থাকবে খুদে শিল্পীরা। কিন্তু তা মাঝেমধ্যেই। তাঁরা মঞ্চে এসে গান গাইতে পারবে। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর মতে, শিশুদের এখনই এই দৌড়ে সামিল না করাই ভাল। কারণ তাঁদের বেড়ে ওঠায় নানা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়ে তাঁদের মা-বাবাদের সঙ্গে মতামত নিয়েও তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও অনুরাগীমহলের মধ্যে একাংশ বলছেন, শিশুদের মঙ্গলার্থে সঠিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। অন্য দলের মতে, যদি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা করারই হত, তাহলে বাছাই পর্ব শুরু হওয়ার আগেই এই দিকটি বিবেচনা করা উচিত ছিল।