নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাবলিশিং হাউজ প্যান ম্যাকমিলান ইন্ডিয়ার তরফে ক্যাফে কফি ডে-র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ভি জি সিদ্ধার্থের জীবনী প্রকাশ করার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। যার নাম ‘কফি কিংঃ দ্য সুইফট রাইজ অ্যান্ড সাডেন ডেথ অব ক্যাফে কফি ডে-‘। খুব শিগগিরি সেই বই প্রকাশ হবে। তবে শুধু বইতে পাঠকরা তাঁর জীবনী পড়ে জানতে পারবেন এমন নয়। এবার বড়পর্দাতেও দেখার সুযোগ মিলবে ভি জি সিদ্ধার্থের জীবনী।
টি-সিরিজ ও অলমাইটি মোশন পিকচার কর্মা মিডিয়া এন্টারটেনমেন্ট এই বইটিকে আধার করেই তৈরি করতে চলেছেন ছবিটি। বইটিতে একজন ব্যবস্যী হিসাবে ভি জি সিদ্ধার্থের উত্থান এবং হঠাৎ করেই তাঁর ব্যবসায় ভরাডুবি তা সামাল দিতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া। কী কারণে এমন দিন দেখতে হল তুখোড় ব্যবসায়ী হওয়ার পরেও তা নিয়েই লেখা হয়েছে তাঁর জীবনী সংক্রান্ত বইটি। এর উপর ভিত্তি করেই নির্মিত হবে ছবিটি।
উল্লেখ্য কফি কিংকে নিয়ে এই জীবনী লিখেছেন, সাংবাদিক রুক্মিণী বি আর ও প্রসেনজিৎ দত্ত। জা প্রকাশিত হবে প্যান ম্যাকমিলান দ্বারা। বইয়ের পাতা থেকে ছবি। তাও কিনা এমন এক ব্যাক্তিত্বকে নিয়ে যার বানান কফিশপে কফিকাপে চুমুক দিয়ে এক আলাদা আনন্দ পায় সকলে। এই ছবি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে টি সিরিজের কর্ণধার ভূশণ কুমার বলেছেন, দেশের একটি নামি ব্র্যান্ড হিসাবে ক্যাফে কফি ডে ভীষণভাবে জনপ্রিয়। যার হাত ধরে দেশের এই নামি বিপণীর যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁকে নিয়ে ছবি করতে চলেছি তাঁর জীবনী সকলের সামনে তুলে ধরতে চলেছি এ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’
অলমাইটি মোশন পিকচারের প্রযোজক প্রভলিন কৌর সান্ধু এপ্রসঙ্গে বলেছেন, “ক্যাফে কফি ডে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি। আমরা বড়পর্দায় ভি জি সিদ্ধার্থের গল্পকে সঠিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব৷ এটি একটি গভীর গবেষণাধর্মী বই যা আমাদের এই মহান উদ্যোক্তার জীবনের অজানা দিকগুলিকে সামনে আনতে সাহায্য করবে।”
বইটির সহলেখক প্রসেনজিৎ দত্ত বলেছেন, সিদ্ধার্থ এমনই একজন মানুষ ছিলেন যিনি ভীষণ নম্র একজন মানুষ ছিলেন সঙ্গে ছিল তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছানোর অদম্য ইচ্ছাশক্তি। বই এবং পর্দা উভয় জায়গাতেই বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। এটি আমার ক্যারিয়ারে একটি উল্লেখযোগ্য প্রজেক্ট। ”
২০১৯ সালের ৩১ জুলাই ম্যাঙ্গালোরের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় দেশের সবথেকে বড় কফি চেইন ক্যাফে কফি ডে-এর কর্ণধারের দেহ। জানা যায় ঋণের বোঝা এতটাই বেশি হয়ে গিয়েছিল যে তাঁর পক্ষে তা শোধ করা সম্ভব হয়নি। আর্থিক টানাপোড়েনের জেরেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন তিনি। পরবর্তীকালে দেশের এই নামি কফি ব্র্যান্ডের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ভি জি সিদ্ধার্থের স্ত্রী। শোধ করেন ঋণ। আবার সকলের কাছে ক্যাফে কফি ডে-এর সুনাম পৌঁছে দিয়েছেন তিনিই।