নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের মিঃ পারফেক্টশনিস্ট বলতে বোঝায় একজনকেই, তিনি হলেন আমির খান। বলিউডের তিন খানের মধ্যে একজন সুপারস্টার আমির খান। প্রায় ৩ দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব তাঁর, দেশ-বিদেশ জুড়ে ভরপুর ভক্তসংখ্যা তাঁর। আমিরের কেরিয়ারের একটি ব্লকবাস্টার হিট ছিল ‘গুলাম’। যা ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায়। ছবিতে আমিরের বিপরীতে অভিনয় করেন রানি মুখোপাধ্যায়। ছবিটি তো বক্সঅফিসে মারাত্মক হিট ছিলই, উপরন্তু ছবি মুক্তির আগেই ছবির অন্যতম সুপারহিট গান ‘আতি কেয়া খান্ডালা’ বিশাল হিট হয়ে যায়। কিন্তু এখানেই আছে টুইস্ট। গানের মধ্যে আমির এক ভয়ঙ্কর স্টান্ট খেলায় মেতে ছিলেন। দ্রুত চলন্ত ট্রেনের সামনে তাঁর স্টান্ট নিয়ে বেশ চর্চাও চলেছিল সেই সময়ে। ছবিতে দীপক তিজোরির চার্লির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে একটি দ্রুতগামী ট্রেনের দিকে ছুটতে দেখা যায় আমিরের চরিত্র সিধুকে, শেষ সেকেন্ডে তিনি ট্র্যাক থেকে লাফিয়ে পড়েন।
নয়তো কয়েক সেকেন্ড ব্যবধানে তাঁর মৃত্যু অনিবার্য ছিল। এটি তার সময়ে ‘খতরন কে খিলাড়ি’ স্টান্ট ছিল। যা দেখে দর্শকরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। এমনকী পূজা বেদীর সঙ্গে একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারে, আমির স্বীকার করেছিলেন যে এটি “খুব ঝুঁকিপূর্ণ” হতে পারত, মৃত্যুকে বাজী রেখে এটি করা উচিত হয়নি।”
আমির ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, দৃশ্যটি তিনটি কোণ থেকে শ্যুট করা হয়েছিল। আমার ফ্রন্টাল অ্যাঙ্গেল ছিল, আমাকে ট্রেন থেকে গুলি করতে হত। সেই সময়ে, আমি এটি বুঝতে পারিনি কিন্তু যখন আমি এটি সম্পাদনা কক্ষে দেখেছিলাম তখন রীতিমতো আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সম্পাদনা টেবিল থেকেই বলা হয়, মাত্র 1.2 সেকেন্ডের ব্যবধানে আমি মরে যেতে পারতাম। শুটটি তিনটি টেক নেওয়া হয়েছিল। ছবিটির প্রযোজক মুকেশ ভাট এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, “আমির নিজেই এই দৃশ্যটি করতে চেয়েছিলেন। সেদিন আমি খুব টেনশনে ছিলাম কারণ এক সেকেন্ডের ব্যবধানে সে ট্রেনে পিষ্ট হয়ে যেত। তবে তিনি একজন অত্যন্ত আন্তরিক অভিনেতা এবং যেকোনো কিছুর জন্যই কঠোর পরিশ্রম করেন। ঈশ্বরের কৃপায় শেষমেশ রক্ষা পেয়ে যান আমির।”