নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের একটি জনপ্রিয় শো ‘Kaun Banega Crorepoti’। এই শোয়ে হোস্টের ভূমিকায় থাকেন বলিউডের বিগ-বি অমিতাভ বচ্চন। যার অসাধারণ সঞ্চালনায় এই শোয়ের খ্যাতি আকাশছোঁয়া। তবে এই শো অনেকদিন ধরেই বন্ধ। ২০১১ সালে এই শোয়ের বিজেতা হয়েছিলেন সুশীল কুমার। আর তিনিই ছিলেন এই শোয়ের প্রথম প্রতিযোগী, যিনি ৫ কোটি টাকা জিতেছিলেন। এবার তিনি জানালেন, এই শোয়ের প্রতিযোগী হওয়ার পর তাঁর জীবন একেবারে তছনছ হয়ে গিয়েছে। এমনকী তিনি IAS পরীক্ষাপ্রার্থী ছিলেন সেই সময়ে, কিন্তু এই শো জেতার পর পড়াশোনার পথ হারিয়ে ফেলেন তিনি, আর পথ প্রশস্ত হয় নি তাঁর। সুশীল এর আগেও একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যে কীভাবে এই শোয়ে বিজয়ী হয়ে তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছিল।
একটি ইংরেজী সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক চ্যাটে, তিনি এই শোয়ে জেতার পরে তাঁর জীবনে কিরূপ খারাপ প্রভাব পড়ে, সেই দিকগুলি তুলে ধরে বলেছিলেন, তাঁর অ্যাকাডেমিক বিষয়গুলি থেকেও মনোযোগ হারিয়ে গিয়েছিল। কারণ তখন তাঁর জীবনকে মিডিয়ার সামনে গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। শো জয়ের পরে, মিডিয়া এক্সপোজার তাঁকে বিরক্ত করা শুরু করে, কারণ তাঁরা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে “খুব আগ্রহী” ছিল। তিনি আরও জানান, “আমার আচরণও একইভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। আমি সত্যিই আমার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারিনি কারণ সবসময় একটি বিভ্রান্তি কাজ করছিল। মিডিয়ায় আমার সম্পর্কে ক্রমাগত লেখা চলছিল। যেখানে অনেক মিথ্যা গল্পও প্রকাশিত হতে থাকে। যা আমাকে ব্যাখ্যা দিতে হত। এরকম 4-5 বছর ধরে চলেছিল৷” আসলে রিয়েলিটি শোগুলি টিআরপি বাড়ানোর জন্য প্রতিযোগীদের ব্যক্তিগত জীবন যেভাবে ব্যবহার করে, সেটা সত্যই দুর্বিসহ।
সুশীল শেয়ার করেছেন যে, রিয়েলিটি শোগুলি প্রতিযোগীদের কেবল কান্নাকাটির গল্পগুলিকে ফোকাস করে। যা একেবারেই উচিত নয়, বরং প্রতিযোগীরা যে কঠোর পরিশ্রম করে তাও তুলে ধরা উচিত। যাতে দর্শকরা সংগ্রামের একটি বাস্তব চিত্র দেখতে পায়। ২০২০ সালে শেয়ার করা একটি ফেসবুক পোস্টে, সুশীল উল্লেখ করেছিলেন যে, এই শোতে তাঁর উপস্থিতির পরে বিহারের একজন “স্থানীয় সেলিব্রিটি” হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রতি মাসে 10-15 দিনের জন্য বিহার জুড়ে একাধিক ইভেন্টের আমন্ত্রন পেতেন তিনি। সেই কারণেই তাঁর পড়াশুনা পিছিয়ে গিয়েছে।