নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘কোন নাটক নয় ফ্লাইটের ঝুঁকি নয়’, নিউইয়র্ক যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েও পিছু হঠতে হল অনলাইন UPI সংস্থা ভারতপে-র প্রাক্তন সিইও তথা জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার অন্যতম হাঙ্গর আশনির গ্রোভার এবং তাঁর স্ত্রী মাধুরী জৈনকে। তাঁদেরকে দিল্লির আন্তর্জাতিক ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে চড়তে বাধা দিয়েছে EOW। সৌজন্য তাঁর বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা জালিয়াতির অভিযোগ। এই ঘটনার একদিন পর নেটমাধ্যমে নিজেই ঘটনার বিস্তারিত X-এ জানান। গতকাল দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার জারি করা লুকআউট সার্কুলার বা এলওসি-র ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন আধিকারিক রা মিঃ গ্রোভার এবং তাঁর স্ত্রীকে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে বাধা দিয়েছেন। তবে মিঃ গ্রোভার অদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো ঠাট্টা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দিল্লির আইজিআই বিমানবন্দরের টার্মিনাল 3-এ থামানো হয় আশনির এবং তার স্ত্রীকে। ভারতপে-তে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে অনেকদিন আগেই। তাই তদন্ত চলাকালীন EOW এই সপ্তাহের শুরুতে তাঁদের বিরুদ্ধে একটি লুকআউট সার্কুলার জারি করেছিল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এখন প্রাক্তন শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার বিচারক একটি হাসির ছবি সহ এক্স (পূর্বে টুইটার) এ একটি ব্যাখ্যা জারি করেছেন। তিনি দিল্লি বিমানবন্দরে তার পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করে লিখেছেন, ”কেয়া চল রাহা হ্যায় ইন্ডিয়া মে? ফিলহাল তো আশনির বিমানবন্দরে থামল চল রাহা হ্যায় জনাব।” তিনি মামলার আরও ‘তথ্য’ও উল্লেখ করে লিখেছেন, ”১. মে মাসে এফআইআর করার পর থেকে আজ ১৭ নভেম্বর সকাল (বিমানবন্দর থেকে ফেরার ৭ ঘন্টা পরে) সকাল ৮ টা পর্যন্ত আমি EOW থেকে কোনো যোগাযোগ বা সমন পাইনি। 2. আমি ১৬-২৩ নভেম্বর পর্যন্ত থাকার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছিলাম। ইমিগ্রেশনে তারা বলেছিল, এলওসি রয়েছে আপনার উপর- ইওডব্লিউ সে চেক কর কে বাতাতে হ্যায়। 4. আমার কাছে এটি অদ্ভুত মনে হয়েছে। কারণ মে মাসে এফআইআর দায়েরের পর থেকে আমি চারবার আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করেছি – কখনই আমার কোনও সমস্যা হয়নী এবং আমাকে একবারও তলব করা হয়নি। 5. এর মধ্যেই ফ্লাইট ছেড়ে গেছে – EOW লোকেরা ইমিগ্রেশনকে নির্দেশ দিয়েছে আমাদেরকে বের করে দিতে যাতে আমরা বাড়ি ফিরতে পারি।
6. আজ সকালে EOW সমন হোম ডেলিভারি করা হয়েছিল – বরাবরের মতো সহযোগিতা করবে।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে ইওডব্লিউ-এর যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সিন্ধু পিল্লাই বলেছেন, ‘নিরাপত্তা পরীক্ষার আগে তাঁদের আটক করা হয়েছিল এবং তাঁদের দিল্লির বাসভবনে ফিরে যেতে এবং পরের সপ্তাহে মন্দির মার্গে ইওডব্লিউ অফিসে তদন্তে যোগ দিতে বলা হয়েছে।’ তবে এলওসি জারি করা হয়েছিল কেবল দুজনকে বিদেশ ভ্রমণ থেকে আটক করার জন্য। কোনও ভাবেই গ্রেপ্তারের জন্য নয়। আশনীর গ্রোভার এখন CrickPe চালান, যেটি একটি ফ্যান্টাসি স্পোর্টস অ্যাপ। ভারতপে প্রতারণার তদন্তে মিঃ গ্রোভার, তার স্ত্রী এবং তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দ্বারা এইচআর ফার্মগুলিতে অব্যক্ত অর্থপ্রদানের অভিযোগ রয়েছে।অভিযুক্ত জাল সংস্থাগুলিকে ৭.৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়ে। পণ্য ও পরিষেবা কর কর্তৃপক্ষকে জরিমানা হিসাবে ১.৬৬ কোটি দেওয়া হয়। এছাড়াও তাঁদের বিরুদ্ধে অন্যান্য কাল্পনিক লেনদেনের মাধ্যমে ৭.৭৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তের ১০ বছর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
