নিজস্ব প্রতিনিধি: গ্রেপ্তারের ৭০ দিন পর জামিন পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করলেন অভিনেতা শীজান খান। গত ২৪ ডিসেম্বর মুম্বই টেলিভিশন অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার মৃত্যুর একদিন পরেই আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন শীজান খান। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আলিবাবা: দাস্তান-ই-কাবুল’-র সেটেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তুনিশা। তাঁর মৃত্যুর পরেই তুনিশার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হন শীজান। অভিযোগ ওঠে, তুনিশা-শীজানের প্রেম গত ছয়মাস ধরে চলছিল। কিন্তু শীজান তুনিশাকে ঠকিয়ে বিচ্ছেদ করায় তুনিশা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও শীজান জবানবন্দিতে জানান, তাঁদের ধর্ম আলাদা এবং বয়সের অনেকটাই ব্যবধানের কারণে তিনি তুনিশার সঙ্গে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটান।
যাই হোক, তুনিশার মৃত্যুর পর, তুনিশার মা শীজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন। এমনকী তুনিশার মা তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও এনেছিলেন। এরপর ৭০ দিন জেল হেফাজতে ছিলেন শীজান। জামিনের আবেদন করলেও বারবার তাঁর খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে দিন দুয়েক আগেই মহারাষ্ট্র সরকার ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয়। তাঁর জামিনের শর্তের ছিল, শীজানের পাসপোর্ট আদালতে জমা রাখতে হবে।
মুক্তি পেয়েই সাংবাদিকদের ক্যামেরাবন্দি হন শীজান। বোম্বে টাইমসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, শীজান স্বস্তি প্রকাশ করে জানান, তিনি এখন স্বাধীনতার ‘সত্যিকারের অর্থ’ বোঝেন। তাঁর মা এবং বোনকে দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন এবং তাঁদের কাছে ফিরে যেতে পেরে তিন আনন্দিত। তুনিশা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে শীজান বলেন, “আমি তাঁকে খুব মিস করি এবং সেও বেঁচে থাকলে আমার জন্য লড়াই করত।” শীজানের বোন ফালাক নাজ অসময়ে তাঁদের পরিবারের পাশে যাঁরা দাঁড়িয়েছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, তুনিশা শর্মার মামা পবন শর্মা বলেছেন যে, তাঁদের লড়াই জারি থাকবে। তাঁরা কোনভাবেই ‘পিছপা হবে না’। শীজানের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটবেন না। “ছেলেটি নির্দোষ হওয়ায় বিজয়ী হয়েছে। আমরা এফআইআর বাতিল করার জন্য বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি, যার শুনানি ৯ মার্চ হবে। আমরা আশা করি সেখানেও আমরা ন্যায়বিচার পাব। পুলিশ তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। যা আমরা একটি কারণ হিসেবে বোম্বে হাইকোর্টে আমাদের আবেদনে উল্লেখ করেছি।”