নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকাল অর্থাৎ ২২ মে আরিয়ান খান মামলায় প্রাক্তন মাদক বিরোধী কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের গ্রেপ্তারি স্থগিত করেছে বম্বে হাইকোর্ট। আগামী ৮ জুন মামলার শুনানি। ঘুষ নেওয়ার অপরাধে ফেঁসে যেতেই একের পর এক নাটক সাজিয়ে যাচ্ছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। যিনি ২০২১ সালে মাদক সেবনের অপরাধে গ্রেপ্তার করছিলেন শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খানকে। যদিও এই ঘটনায় উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেননি সমীর ওয়াংখেড়ে, বরং তিনি ঘুষ নেওয়ার লোভে এই কান্ডটি করেছেন কিনা তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। টানা ২২ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান আরিয়ান, এরপর পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে ২০২২ সালের মে মাসের বেকসুর খালাস করা হয় আরিয়ানকে। সম্প্রতি এই ঘটনার তদন্তে নেমে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন সিবিআই।
প্রথমত প্রাক্তন মাদক বিরোধী কর্মকর্তার এত সম্পত্তির সঙ্গে তাঁর আয়ের অনুপাত মেলে নি, দ্বিতীয়ত তিনি আরিয়ানকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন, বদলে ২৫ কোটি দাবি করেন। এই ঘটনাই জানাজানি হওয়া মাত্রই শাহরুখের সঙ্গে নিজের চ্যাটের কয়েকটি স্ক্রিনশট দেখিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার আবেদন জানান সমীর ওয়াংখেড়ে। চ্যাটে লেখা ছিল, শাহরুখ নাকি আরিয়ানকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যে আকুতি মিনতি করেছিলেন সমীরের কাছে। কিন্তু এই প্রমাণের কোনও যৌক্তিকতা নেই। আদালত নিজেই সমীরের এই প্রমাণ ভুয়ো বলে দাবি করেছে। এদিকে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT), আরিয়ান হেফাজতে থাকাকালীন শাহরুখের সঙ্গে সমীরের যোগাযোগ করার বিষয়টি একেবারেই ভালো চোখে দেখেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একটি নিউজ পোর্টালকে বলেছেন, এসআরকে-এর সঙ্গে ওয়াংখেড়ের যে কথোপকথন হয়েছিল সে সম্পর্কে তাঁরা কেউ অবগত ছিলেন না এবং তিনি নিজেও কখনও এই বিষয়ে অবহিত করেননি। অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে এই ধরনের কথোপকথন গুরুতর অন্যায় এবং নিয়ম লঙ্ঘন। এই কাজের জন্য ওয়াংখেড়েকে কৈফিয়ৎ দিতে হবে। এসআইটি আরও বলেছে যে, আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি অযৌক্তিক কারণ তাঁর কাছে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি। আরিয়ানের কোনও রক্ত পরীক্ষা হয়নি।হাইকোর্ট সিবিআইকে ৩ জুন তাঁর প্রতিক্রিয়া দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে ওয়াংখেড়ের দলকে ৭ জুন পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় দেওয়া হয়েছে।