নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে রিলিজ হল বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘মিসেস চ্যাটার্জি বনাম নরওয়ে’-এর ট্রেলার। ছবিতে বহুবছর পর একেবারে মূলস্রোতে ভাসতে দেখা যাবে বলিউডের প্রথম সারির জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়কে। ছবিটি ঘোষণার পর থেকেই রানির ভক্তদের উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছিল। অবশেষে লঞ্চ হল ‘মিসেস চ্যাটার্জি বনাম নরওয়ে’র ট্রেলার। ছবিটি নরওয়েতে বসবাসকারী স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে এক বাঙালি নারীর জীবনী অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। যার সন্তানদের নরওয়ের শিশুপ্রতিরক্ষা পরিষেবা দ্বারা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এবার সেই চিত্রই ফুটে উঠবে ‘মিসেস চ্যাটার্জি বনাম নরওয়ে’-ছবিতে। ট্রেলার বলছে, নরওয়েতে মিসেস চ্যাটার্জির নতুন জীবনের নিখুঁত ছবি আঁকার মাধ্যমে।
তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে নরওয়েতে নতুন জীবন শুরু করার জন্য দেশ ছেড়ে নরওয়েতে চলে যান। কিন্তু এক দুর্ভাগ্যজনক দিনে, দুজন মহিলা মিসেস চ্যাটার্জির থেকে তাঁর সন্তানকে ছিনিয়ে নেয়। পরে তিনি জানতে পারেন যে, চ্যাটার্জিরা বাচ্চাদের পর্যাপ্ত পরিচর্যা করতে পারেনি বলে সেই দেশের সরকার তাঁদের কাছ থেকে তাঁদের সন্তানকে কেড়ে নেয়। আসলে নরওয়েজিয়ান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে অসচেতনতা রয়েছে। তাঁদের যখন নজরে পড়ে, মিসেস চ্যাটার্জি তাঁর বাচ্চাদের হাত দিয়ে খাওয়ান, তাঁদের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমান বা তাঁর বাচ্চাদের গায়ে ‘নজার’ টিকা দেন। নরওয়ে সরকারের মতে, এই সবই একজন মাকে তাঁর সন্তানদের থেকে আলাদা করার জন্য যথেষ্ট। যাইহোক, মিসেস চ্যাটার্জি শেষপর্যন্ত হাল ছাড়বেন না। তিনি নরওয়েতে তাঁর সন্তানদের ফিরে পাবার জন্যে আদালতে যান এবং তাঁর স্বামীর সমর্থন ছাড়াই, তিন একাই লড়াই চালান। স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন বাঙলি অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
আসলে রানির স্বামী দেশের নাগরিকত্বের অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। আশিমা চিব্বার দ্বারা পরিচালিত, ‘মিসেস চ্যাটার্জি বনাম নরওয়ে’ সত্যঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। ঘটনা ফিল্মটি এ প্রবাসী ভারতীয় মায়ের নরওয়েজিয়ান যত্ন ব্যবস্থা এবং স্থানীয় আইনের বিরুদ্ধে সন্তানদের ফিরে পাওয়ার জন্য যুদ্ধের গল্প বর্ণনা করে। পূর্বে, ছবিটি ৩ মার্চ, ২০২৩-এ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে পিছিয়ে ২১ মার্চ ছবি মুক্তির দিন ধার্য করা হয়েছে। জি স্টুডিওস এবং এমমে এন্টারটেইনমেন্ট দ্বারা প্রযোজিত, ছবিটি এস্তোনিয়া এবং ভারতের কিছু অংশে ব্যাপকভাবে শ্যুট করা হয়েছে।