নিজস্ব প্রতিনিধি: আরিয়ান খান মামলায় শাহরুখ খানের চ্যাটের স্ক্রিনশট কোনভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন না প্রাক্তন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) জোনাল ডিরেক্টর, সমীর ওয়াংখেড়ে, স্পষ্ট জানিয়ে দিল বোম্বে হাইকোর্ট। মাস কয়েক ধরেই আরিয়ান খান মামলায় ২৫ কোটি ঘুষ নেওয়ার অপরাধে আলোচনায় রয়েছেন প্রাক্তন NCB-অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। ঘটনার সূত্রপাত, যখন সমীর ওয়াংখেড়ে সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ নিতে মাঠে নামেন ইনকাম ট্যাক্স দফতর। তখন থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে উঠে আসে নানা তথ্য। এরপরেই সিবিআই আরিয়ান মামলার তদন্তে নামে। ২০২১ সালে বিলাসবহুল ক্রুজ পার্টিতে অভিযান চালিয়ে মাদক পানের অপরাধে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান ও তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেন সমীর ওয়াংখেড়ে। টানা ২০ দিন জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পান আরিয়ান। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি সমীর, উল্টে আরিয়ানকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হবে এমন হুমকি দিয়ে সমীর ওয়াংখেড়ে শাহরুখের কাছ থেকে ২৫ কোটি ঘুষ নিয়েছিলেন। তদন্তে এই ঘটনা উঠে এলে অবিলম্বে সমীর ওয়াংখেড়েকে গ্রেপ্তারের দাবী তোলে সিবিআই। আর সুযোগ বুঝে নিজেকে বাঁচাতে সেই সময়ে শাহরুখের সঙ্গে করা চ্যাটের স্ক্রিনশট নিয়ে দিল্লিহাইকোর্টে পাল্টা অভিযোগ জানান সমীর ওয়াংখেড়ে।
জানান, মিথ্যে ভাবে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। চ্যাটের মধ্যে শাহরুখের সঙ্গে তাঁর চ্যাটের বিস্তারিত ছিল, যেখানে লেখা ছিল, শাহরুখ রীতিমতো তাঁর কাছে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যে অনুনয় বিনয় করেন। কিন্তু সমীরের সাজানো ঘটনা একেবারেই ধোপে টেকেনি। কারণ শাহরুখ কখনই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেননি এবং তিনি আইনের উপর আস্থা রেখেছিলেন। তাই সমীরের বানানো যুক্তি কোনো খাতেই মিলছে না বলে দাবি ছিল সিবিআইয়ের। এবার সিবিআইয়ের সুরেই সুর মেলাল বোম্বে হাইকোর্ট। শাহরুখ খানের সঙ্গে সমীরের কথিত চ্যাটগুলিকে তাঁর ‘সততার’ প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবেনা বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। তিনি কেস চলাকালীন অভিযুক্ত পরিবারের সঙ্গে ফোনালাপ করে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, জানাল হাইকোর্ট। মাদকদ্রব্য তদন্ত সংস্থার দায়ের করা হলফনামা অনুসারে, ওয়াংখেড়ে তাঁর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে গোপনে অভিনেতার সঙ্গে কথোপকথন চালিয়েছেন।
যেটা বেআইনি। এই ধরনের চ্যাট চালিয়ে যাওয়ার কোন কারণ ছিল না। হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বরখাস্ত অফিসার অভিনেতাকে “অনেকবার” ফোনকলও করেছিলেন। যদিও আরিয়ান গত বছর বেকসুর খালাস হয়ে যান এই কেস থেকে। এর আগে, ওয়াংখেড়ের আইনজীবী অভিযোগ করেছেন যে, আরিয়ান খান এবং তাঁর বাবা শাহরুখ খান ইতিমধ্যেই আদালতকে জানিয়েছেন যে, এই মামলায় ২৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজির কোনও প্রসঙ্গ নেই।১৭ জুন, এনসিবি তাঁদের প্রাক্তন অফিসারদের দাবি খণ্ডন করে একটি ৯২ পৃষ্ঠার হলফনামা দাখিল করে। সেখানেই বলা হয়, সমীরের সঙ্গে শাহরুখের চ্যাট প্রাক্তন অফিসারের কোনও সততা প্রমাণ করেনা।