নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসা তদারকি সরকারের প্রধান মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘অওকাত’ বুঝিয়ে দিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। জাতিসঙ্ঘের ওশেন সম্মেলনের ফাঁকে একান্ত বৈঠকে বসার জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্টের কাছে করুণ আর্তি জানিয়েছিল বাংলাদেশে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের নয়া গডফাদার মোল্লা ইউনূস। পত্রপাঠ সেই অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা কারও সঙ্গে বৈঠকে বসবেন না। ফরাসি প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ‘রামধাক্কা’ খাওয়ায় যথেষ্টই অপমানিত পাকিস্তানের দোসর মোল্লা ইউনূস। এতটাই অপমানিত যে ওশেন সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উল্লেখ্য, পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়েও ভ্যাটিকানে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে করমর্দন করতে গিয়েছিলেন ইউনূস। তখনও করমর্দন করতে অস্বীকার করেছিলেন ম্যাক্রোঁ।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯ জুন থেকে ফ্রান্সের নিস শহরে জাতিসঙ্ঘের তৃতীয় ওশেন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন শুরুর আগের দিন অর্থা‍ৎ ৮ জুন অংশগ্রহণকারীদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করেছেন ফরাসি  প্রেসিডেন্ট। জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব তথা জঙ্গিবাদের মদতদাতা অ্যান্তোনিও গুতেরেসের অনুরোধ মেনে বাংলাদেশকেও সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ফ্রান্স সরকার। আর মওকা বুঝেই ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার জন্য কোমর কষে ঝাঁপান ইউনূস। বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে  দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার ব্যবস্থা করার আর্তি জানানো হয়। ওই আর্জি পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া, অবৈধ ক্ষমতা দখল করা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন না ম্যাক্রোঁ।

দিল্লিতে ২০২৩ সালে জি-২০ সম্মেলন যোগ দেওয়ার পর বাংলাদেশের ত‍ৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধ মেনে সোজা দিল্লি থেকে ঢাকায় এসেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ওই সময়ে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে স্যাটেলাইট সিস্টেম নিয়ে একটি সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষরিত হয়। ওই সময়ে দুই দেশের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার, টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব। যে কোনও দেশে অসাংবিধানিক পরিবর্তন এবং বেআইনি সামরিক দখলের নিন্দা করে ঢাকা ও প্যারিস।’

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ যে মোল্লা ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসতে অস্বীকার করেছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের জনকূটনীতি অনুবিভাগের এক শীর্ষ কূটনীতিবিদ। তাঁর কথায়, ‘দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে অস্বীকার, যথেষ্টই অপমানজনক। তবুও আসন্ন তৃতীয় ওশেন সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব কে করবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’